শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে নন্দীগ্রামের প্রকৃত নেতা কে? নন্দীগ্রামের পরিবাররা কাকে আপন করে নেবেন? গতকাল নন্দীগ্রামে সভা ছিল তৃণমূলের, ওই সভায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ছিলেন প্রধান বক্তা। গতকালের তৃণমূলের মঞ্চে নন্দীগ্রামের পরিবারের কাউকেই দেখা যায় নি। এরপর থেকেই ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, নন্দীগ্রামের পরিবার তাঁদের প্রকৃত নেতা কে সেটা বেছে নিয়েছে।
আর আজ শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চে নন্দীগ্রামের পরিবারের সদস্যরা হাজির হয়ে বুঝিয়ে দিলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রকৃত নেতা কে ছিলেন। সারা বছরই শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখেন, ঈদ-পুজো সব খুশিই তাঁদের সাথে ভাগ করে নেন। এমনকি সেখানকার অসহায় মানুষদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। গত ১৩ বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছেন।
এর আগে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রধান নেতা কে ছিল সেটা নিয়ে কথা ওঠায় কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী সমেত অনেক তৃণমূল বিরোধী নেতাই শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়েছিলেন। তখন তৃণমূলের তরফ থেকে ঘর আপত্তি করা হয়েছিল। গতকাল সুব্রত বক্সি নন্দীগ্রাম থেকে বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রামের আন্দোলন কারও ব্যক্তিগত আন্দোলন না। ওই আন্দোলন মানুষের আন্দোলন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন। অনেকেই এই আন্দোলনকে নিজের ব্যক্তিগত আন্দোলন বলে চালানোর চেষ্টা করছেন।”
কিন্তু রাত ঘুরতেই সুব্রত বক্সির কথা ভুল প্রমাণ করল নন্দীগ্রামের পরিবারের সদস্যরা। আজ শুভেন্দু অধিকারীর সভায় নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পরিবার উপস্থিত থেকে সাফ জানিয়ে দেয় যে, ২০০৭ সাল থেকে তাঁদের বিপদে-আপদে শুভেন্দু অধিকারীই ছুটে এসেছেন বারবার। নন্দীগ্রামের পরিবারের সদস্যরা জানান, ‘ আমরা দাদার সঙ্গে ছিলাম, আছি আর থাকব।”
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে প্রয়াত এক ছেলের বাবা বলেন, ‘ওই দিন আমার ছেলে প্রাণ হারিয়েছিল হয়েছিল। আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিমাসে তাঁর চিকিৎসার জন্য ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এটা শুভেন্দুবাবুই বহন করেন। আমরা কোনদিনও ওনাকে ছেড়ে যেতে পারব না।”