কাঁথিতে পরপর দুদিন হাইভোল্টেজ সভা দুটি রাজনৈতিক দলের। গতকাল তৃণমূলের সভার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আজ কাঁথি প্রথমে বিশাল রোড শো আর পড়ে জনসভ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর রোড শো আর জনসভায় মানুষের ভিড় হয়েছিল নজর কাড়ার মতন। গতকাল তৃণমূলের মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম আর সৌগত রায়। আর আজ সেটার পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু।
এমাসেই বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) যোগ দিয়েছিলেন, আর আজ প্রথম নিজের গড় কাঁথিতে সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রথমে একটি রোড শো, তারপর জনসভা। দুটিতেই ভিড় হয়েছিল নজর কাড়ার মত। গতকাল এই কাঁথিতেই রোড শো আর জনসভা করেছিল তৃণমূল। সভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে একের পর এক আক্রমণ করে ওনারা।
আজ শুভেন্দুর কাঁথির সভায় জনস্রোত দেখে মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে বিজেপি নেতৃত্বের। রোড শোয়ে জনপ্লাবন দেখে বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী নতুন স্লোগানও দেন। তিনি বলেন, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে।” তিনি তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, আমাদের আটকে রাখা যাবে না। এবার ২০০ পার করব আমরা। পারলে আটকে দেখান।
গতকাল কাঁথিতে বিশাল জনসভা করে অধিকারী পরিবার আর শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া বার্তা দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় সেই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে মীরজাফর বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কাঁথিতে শক্তি প্রদর্শন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে, দল পাল্টালেও মেদিনীপুর ওনার সাথেই আছে।
আজকের এই সভা থেকে গতকাল ওনাকে করা আক্রমণের জবাবও দেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘উনি এখানে কুৎসা করতে এসেছিলেন। কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী এখন আমাকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছেন।” সৌগত রায়কে একহাতে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘৯৮-এ দক্ষিণ কলকাতায় কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি বলে আক্রমণ করেছিলেন তিনি সেটা এখন আর মুখে আনা যায় না।”