“প্রণাম নেবেন দিদি !” তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকের শেষের দিকে সৌগত রায় ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। মোবাইল ফোনে তৃণমূল (TMC) যুবনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর, লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পর মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষণ কথা বলেন নন্দীগ্রাম বিধায়কের সঙ্গে। সূত্রের খবর, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথা মনোযোগ সহকারে শুনে শেষে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জবাবে বলেন, “আচ্ছা, প্রণাম নেবেন দিদি।”
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পরস্পরের সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ ছিল মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সদ্য পদত্যাগী পরিবহন মন্ত্রীর। কিন্তু, সেদিন সমঝোতার বৈঠক থেকেই দীর্ঘ সময় পর কথা হয় মমতা শুভেন্দুর। রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিক দূরত্বের সূত্রপাত হয়েছিল বছর কয়েক আগে থেকেই। সেই দূরত্ব এখন ফাটলের চেহারা নিয়েছে। আস্থার সম্পর্কে চিড় ধরলেও এখন আর একে অপরের প্রতি কোনওরকম আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেননি তাঁরা। কিন্তু শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলে এই সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে।
সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন রাজ্যের রাজনীতির কারবারীরা।
তাই তাঁরা মনে করছেন, ‘দাদা’ মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের শেষ প্রণাম ওইদিনের বৈঠক থেকেই জানিয়ে এসেছেন শিশির অধিকারীর মেজ পুত্র। শুভেন্দু অধিকারী বরাবর নিজের অগ্রজদের সম্মান দেখিয়ে এসেছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। তৃণমূলের সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল তিনি। তাই দল ছাড়ার আগে শেষ ফোনালাপেও নিজের সৌজন্য বজায় রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।