দেশ জুড়ে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং ৪৫-এর ওপরে যাঁদের বয়স এবং কো মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের কোভিড টিকা দেওয়া হচ্ছে সোমবার থেকে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা টিকা নেবেন মঙ্গলবার থেকে। তাঁদের পরিবারের লোকজন এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদেরও টিকা দেওয়া হবে। আদালত চত্বরেই তাঁরা টিকা নেবেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, বিচারপতিরা ইচ্ছামতো ভ্যাকসিন বেছে নিতে পারবেন না।
ভারতে এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির কোভিড যোদ্ধা মিলিয়ে ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সোমবারই কোভ্যাকসিন টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর তিনি টুইট করে বলেন, “এইমস-এ কোভিড ১৯ টিকার প্রথম ডোজ নিলাম। এত কম সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যেভাবে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা লড়াই করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। যাঁরা টিকা নেওয়ার যোগ্য তাঁদের সবাইকে টিকা নেওয়ার আবেদন করছি আমি। আমরা সবাই মিলে ভারতকে কোভিড মুক্ত করে তুলব।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এদিন বলেন, তিনি নিজে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বুকিং করবেন সোমবার। সম্ভবত মঙ্গলবার তিনি ভ্যাকসিন নেবেন। তিনি এদিন বলেছেন, যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাঁদের দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। যাঁদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি এবং নানা রোগ আছে, তাঁদের উদ্দেশেও তিনি একই আহ্বান জানান। প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক, এমনকি বিরোধীদেরও তিনি ভ্যাকসিন নিতে বলেন। তাঁর দাবি, এর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা যাবে যে, দ্রুত টিকা নেওয়া উচিত।
এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ফের লকডাউন জারির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “আমি লকডাউন জারি করতে চাই না, কিন্তু মজবুরিতে অনেক কিছু করতে হয়।” পর্যবেক্ষকদের মতে, তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, বাধ্য হলে লকডাউন জারি করা যেতে পারে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, লকডাউন এড়াতে চাইলে মাস্ক পরুন।
উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছেন। সোমবার সকালে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণ হয়েছে ৮২৯৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৭৫৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের।
মহারাষ্ট্রে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৫২,১৫৪ জন। সেরে উঠেছেন ২০ লক্ষ ২৪ হাজার ৭০৪ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্যে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৩.৯৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ২.৪২ শতাংশ।