সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর দিনেই রাজ্যসভার অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ১২ জনকে। তাঁদের মধ্য রাজ্যের দুই মহিলা সাংসদ রয়েছেন। দুজনের রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সাংসদ। এই নিয়ে আজ তৃণমূল শিবিরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, ”এটা খুবই লজ্জার বিষয় যে ১২ জন সাংসদ রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুই জন বাংলার মহিলা সাংসদ।”
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি আরও বলেন, “ফালাকাটায় কলেজ ছাত্রীর উপরে হামলা হয়েছে। রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নন। বাংলার মহিলাদের সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। অধিকাংশ জেলায় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ধুঁকছে। তাই বিচার পাওয়া যাচ্ছে না।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্পেরও তুলোধনা করেন। তাঁর বক্তব্য, “কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গলা ফাটান। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেয়েরা সুরক্ষিত নন।”
এর পাশাপাশি রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি যে এখনও অব্যাহত, সেই কথাও আজ সাংবাদিক বৈঠকে আরও একবার তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার। বললেন, ” রাজ্যে এখনও বিজেপি নেতাদের উপরে তৃণমূল কংগ্রেসের হিংসা অব্যাহত।”
সম্প্রতি জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে ফাটল আরও চওড়া হতে দেখা গিয়েছে। সরাসরি কেউ কিছু না বললেও, ঠারেঠোরে নিজেদের অবস্থান বুঝিয়ে দিতে কোনও খামতি রাখছে না কোনও শিবিরই। আজ এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা তাদের নিজেদের সমস্যা। ওদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু ওদের প্রত্যেকের গোপন অভিসন্ধি একই।
আজ দিল্লির সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বাংলার একাধিক ইস্যু তুলে ধরেন। কেন এক জন বাঙালি সাংসদকে সরিয়ে সেই জায়গায় এক জন অহমিয়াকে রাজ্যসভায় পাঠানো হল, তা নিয়ে আজ ফের একবার প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, কেন বাঙালি বঞ্চিত হচ্ছে? গোয়ার লোকেদের কেন (বাংলা থেকে) রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য? বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তৃণমূলের বহিরাগত তত্ত্ব কেবলই রাজনৈতিক ছিল।