চার দিনের সফরে আজই দিল্লি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যাবার আগে বিমানবন্দরে তিনি বলেন, রাজ্যে বিএসএফের কাজের পরিধি বাড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিএসএফ নিয়ে মমতাকে বিঁধে সুকান্ত মজুমদার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এক ভীত তা বুঝতে পারছি না। বর্তমানে বিএসএফ কোনও রাজ্যের সীমানা থেকে ৫০ কিলোমিটার ভেতরেও কাজ করতে পারে। কয়েকটি রাজ্যে এটি ছিল ৮০ কিলোমিটার। অর্থাত্ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার কমানো হয়েছে। আগে যেসব রাজ্যে বিএসএফের এক্তিয়ার বেশি ছিল সেইসব রাজ্য এতে আপত্তি করেনি। তাহলে বাংলার আপত্তি কীসের!
রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, বিএসএফ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না। ধৃতকে রাজ্য পুলিসের হাতেই তুলে দেওয়া হয়। মমতা কেন এত ভয় পাচ্ছেন তা বোঝা যাচ্ছে না। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সেই বিএসএফের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই না করে বাংলাদেশ থেকে আসে জেএমবি জঙ্গিরা যারা এরাজ্য বসবাস করছে বা করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। গত কয়েক দিনের খবর যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে। এরা বাংলার কেউ নয়, বাংলাদেশ থেকে এসে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ধরা পড়েছে।
তৃণমূলের আন্দোলনের পন্থাপদ্ধতি নিয়েও সরব হন সুকান্ত মজুমদার। বলেন, বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করার জন্য বঙ্গ বিজেপিই যথেষ্ট। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাদের মার্গ দর্শন করে। তবে তৃণমূলের রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমরা লড়তে জানি। বিজেপির দফতরের সামনে বিক্ষোভ আমাদের সংস্কৃতি নয়। আমরা তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভে দেখাতে যাব না।
অন্যদিকে, থানায় কালী মন্দির তৈরিতে বাধার অভযোগ তুলেও সরব হন সুকান্তবাবু। বলেন, ৩৪ বছর রাজ্যে বাম সরকার থাকার সময়ে এমনকি জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময়েও থানায় কালীপুজো হত বা কালী মন্দির ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমরা এক ধর্মীয় সংকীর্ণতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। থানায় কালীমন্দির থাকা এখন চ্য়ালেঞ্জের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। মগরাহাট থানায় বিশেষ এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ থানায় কালী মন্দির তৈরি নিয়ে সেখানকার বিডিওর কাছে আপত্তি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আপত্তির ভাষা খুবই সন্দেহজনক। সেখানে বলা হয়েছে আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। কিন্তু প্রয়োজনে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। এই ঘটনা প্রমাণ করে বর্তমানে তৃণমূলের শাসনে বাংলার পুরনো সংস্কৃতি আর নেই। মগরাহাটে ওসির বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, থানায় কালীমন্দির তৈরি করা যাবে না। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। মানুষের দৃষ্টচি আকার্ষণ করছি, বাংলার সংস্কৃতি এখন হুমকির মুখে।