হাইভোল্টেজ প্রচারের লাস্ট ল্যাপ চলছে নন্দীগ্রামে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন গ্রামের অলিগলিতে রোড শো নিয়ে ঢুকে পড়ছেন হুইলচেয়ারে বসে, তখন মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, “উনি উড়ে এসেছেন, উড়ে চলে যাবেন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা শুভেন্দুই থাকবে আপনাদের পাশে।”
এদিন সকাল থেকে নন্দীগ্রামের বেশ কয়েকটি মন্দির প্রাঙ্গনে গিয়ে জনসংযোগ সারেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি মমতার নাম না করে বলেন, “এখন হঠাৎ করে হিন্দু হয়েছে! মন্দির দেখলেই নেমে পড়ছে। নামতে তো পারছে না, দেখাচ্ছে। পায়ে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে রেখেছে, কিচ্ছু হয়নি। ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ওটা থাকবে। তারপর খুলে নেবে।”
এদিন নন্দীগ্রামের জনগণের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “আমি লোকটা এক আছি, শুধু প্ল্যাটফর্মটা বদলেছি। আপনাদের অনেকে বলতেন, ঠিক লোক ভুল জায়গায় রয়েছে। এত দিন ছিলাম তৃণমূলের কর্মচারী, ল্যাম্পপোস্ট। এখন আমি স্বাধীন বিজেপি কর্মী। আগামী পাঁচ বছর মুক্ত মনে নন্দীগ্রামের জন্য মোদীজির দিশায় কাজ করব।”
মমতা বারবার বলার চেষ্টা করছেন, নন্দীগ্রামে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হত না। রবিবার বিরুলিয়ার সভায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বলেছিলেন, “আসতে আসতে দেখলাম রাস্তাগুলোর খুব খারাপ অবস্থা। নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়ে দেখতে পায়নি রাস্তাগুলো! চোখে কি ন্যাবা হয়েছিল! নন্দীগ্রামের বিধায়ক হবে, নন্দীগ্রামের মন্ত্রী হবে, নন্দীগ্রাম দেখিয়ে করে খাবে আর এখানকার রাস্তা দেখবে না।”
পাল্টা এদিন শুভেন্দু বোঝাতে চান, গত ১০ বছর ধরে তিনিই ছিলেন নন্দীগ্রামের মানুষের সুখে দুঃখে। কার বিয়ে হচ্ছে না, কার পড়ার বই লাগবে, কাকে সেলাই মেশিন কিনে দিতে হবে—সব দাঁড়িয়ে থেকে করেছেন। তাই এবার ভোটে তারই ডিভিডেন্ট পেতে চাইছেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা।