রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসায় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট হিমশৈলের চূড়া মাত্র: শুভেন্দু

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এই রিপোর্টে মাত্র দু’হাজার অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে। আরও চার হাজার এফআই আর আড়াই হাজার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার অভিযোগ, দেশের কোনও রাজ্যে এই নজির নেই। ব্রিটিশ শাসনকেও হার মানিয়েছে এই সরকার।

শুভেন্দু বলেন, আমি বিরোধী দলনেতা হয়ে ডিজি বীরেন্দ্রকে ফোন করেছিলাম, তিনি বিরোধী দলনেতার ফোন প্রথমটায় ধরেননি। পরে মেসেজ করলে হোয়াটসঅ্যাপ কল করেন। ভাবুন ডিজি যদি এমন করেন তাহলে ওসি, আইসিরা কি করছেন? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, তাদের ২৯ জন কর্মী-সমর্থক খুন হয়েছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল ও প্রশাসনের মধ্যে বিভাজন মুছে গেছে।

মঙ্গলবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টে মুখ বন্ধ খামের রিপোর্ট জমা দেয় মানবাধিকার মিশন। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। রিপোর্টে প্রতিহিংসামূলক হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দলকে ভোট দেওয়ার কারণেই হিংসার শিকার হয়েছেন এবং অত্যাচারিত হয়েছেন বহু মানুষ‌ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনের রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে রাজ্যে যেভাবে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। মানুষের জীবন জীবিকাতেও এর প্রভাব পড়েছে। হিংসার ফলে বহু মানুষ বাড়ি ছাড়া। ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে পারেনি। ভোট-পরবর্তী হিংসায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পুলিশের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলার কথাও বলা হয়েছে। একাধিক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের‌ কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে এই রিপোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.