আক্রমণের লক্ষ্য নির্দিষ্ট। কিন্তু প্রতিদিন নিত্যনতুন উপমা। নতুন নতুন শব্দবন্ধ বলাকে যেন অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সম্প্রতি কুলতলির সভা থেকে শুভেন্দুর নাম করে ঘুষখোর বলে অভিযোগ তোপ দেগেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ছড়া কেটে বলেছিলেন, ‘দশ বছর খেয়ে মধু, মিরজাফর এখন সাজছে সাধু!’
মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বিজেপির সভা থেকে সেই তাঁকেই রানি মৌমাছি বলে তোপ দাগলেন শুভেন্দু। এদিন তিনি বলেন, “কী বলেছে আমার নামে? আমি নাকি দশ বছর মধু খেয়েছি! আরে আমরা তো ’১১-র আগের লোক। নন্দীগ্রাম করা, জঙ্গলমহল করা লোক। আর আপনি তো ’১১-র পর দিল্লি থেকে ল্যান্ড করেছিলেন। আমরা তো শ্রমিক মৌমাছি। আপনি তো রানি মৌমাছি। মধু তো আপনি খেয়েছেন।”
ক্লাস এইটের জীবন বিজ্ঞান বইয়ে মৌমাছিদের পার্থক্য লেখা থাকে। এদিন তাকেই রাজনৈতিক উদাহরণে টেনে আনলেন শুভেন্দু। বোঝাতে চান, ‘ভাইপো’ রাজনীতিতে আসার আগেই বাংলায় পরিবর্তনের খেলা ঘুরে গিয়েছিল। ২০০৮-এর পঞ্চায়েতে বাংলায় দুটি জেলা পরিষদ বামেদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। একটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং অন্যটি পূর্ব মেদিনীপুর।
এদিন শুভেন্দু বলেন, “২০০৮ সালে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। তখন ভাইপো ছিল না। নদীর ওপারে পূর্ব মেদিনীপুর, আমরা ছিলাম। আর এপারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা কাননদারা (শোভন চট্টোপাধ্যায়) ছিলেন।” প্রসঙ্গত শোভনবাবু দেড় বছর আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দীর্ঘ নিষ্ক্রিয়তা কাটিয়ে ফের তিনি রাজনীতির ময়দানে সক্রিয়। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একের পর এক কর্মসূচি করছেন। এদিনই শোভন-বৈশাখী রোড শো করেন বেহালায়।