পিএসি চেয়ারম্যান নিয়ে সংঘাতের আবহে জল্পনা তৈরি হয়েছিল স্পিকারের ডাকা সর্বদলীয় বিজেপি বিধায়করা যোগ দেবেন কি না তা নিয়ে। সোমবার দেখা গেল বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে হাজির হলেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। কিন্তু ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠকে বিজেপি দাবি তুলল, ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে হবে। তা ছাড়া বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও অধিবেশনে আলোচনা চেয়েছেন তাঁরা।
এদিন স্পিকারের কক্ষে তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস, সন্ধ্যারানি টুডু, পার্থ ভৌমিক-সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বিজেপির তরফে ছিলেন, মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, অম্বিকা রায়, বিমান ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল, তাপসী মণ্ডলরা।
বিজেপি এমনিতেই ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নেমেছে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সরাসরি সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে চিঠি লিখে দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে এই তদন্ত করাতে। এদিন বিধানসভায় আলোচনা চাইলেন তাঁরা।
এদিন যখন স্পিকারের ঘরে সর্বদলীয় বৈঠক চলছে তখন বিধানসভায় ঢোকেন শুভেন্দু। কিন্তু তিনি বৈঠকে যাননি। বিরোধী দলনেতার ঘরে গিয়ে বসেন তিনি।
বাংলার বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস শূন্য। ফলে তাঁদের এই বৈঠকে ডাকা হয়নি। মোর্চার একমাত্র বিধায়ক আইএসএফ-এর নওশাদ সিদ্দিকিকেও ডাকা হয়নি বৈঠকে। অনেকের মতে, নামে সর্বদলীয় বৈঠক হলেও কার্যক্ষেত্রে দ্বিদলীয় বৈঠক হয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।