নিরীহ ছাত্রের উপর পুলিশের গুলি চালনার অভিযোগ তুলে এ বার পঠনপাঠন বন্ধ রেখে আন্দোলনে নামলো বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা। সোমবার কালো পতাকা নিয়ে ও কালো ব্যাজ পরে স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, পুলিশের কাছ থেকে উপযুক্ত জবাব না পাওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।
শনিবার বিকেলে তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পাত্রসায়রে দলের ‘জনসংযোগ যাত্রা’ সেরে ফিরে যান। তারপরেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা তেতে ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের সভায় বাইরে থেকে প্রচুর লোকের জমায়েত হয়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েক জন দুষ্কৃতীও ছিল। তারাই বিজেপির পাত্রসায়র মণ্ডল-২ সভাপতি তমালকান্তি গুঁই এর দোকানে হামলা চালায়। এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করলে পুলিশ গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ হয় অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত সৌমেন বাউড়ি নামে এক ছাত্র সহ তিন জন। রাতেই বছর তেরোর ছাত্র সৌমেন, এবং গুলিবিদ্ধ আরও দুজন তাপস বাউড়ি ও টুলু খাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। আহত দুই যুবক তাদের সমর্থক বলে দাবি বিজেপির।
বিজেপির তরফে রবিবার দিনভর আন্দোলনের পর সোমবার সকাল থেকে আহত ছাত্র সৌমেন বাউড়ির সহপাঠী, বন্ধুরা পুলিশের গুলি চালনার অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেছে। ছাত্র ছাত্রীদের এই আন্দোলনকে স্কুলের শিক্ষকরাও সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাই সকাল থেকেই পুরোপুরি থমকে গেছে কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন।