দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উঁচু ছাদ থেকে পড়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার! বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ১৯ বছরের ওই বিজ্ঞান পড়ুয়া, সুজন সামন্ত। গত কাল বাবাকে ভিডিও কল করে কথা বলছিলেন তিনি। সেই অবস্থাতেই আচমকা ঝাঁপ দেন সুবর্ণজয়ন্তী ভবনের ন’তলা থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, সদ্যমৃত সুজন আদতে আসানসোলের বাসিন্দা। মেধাবী ছাত্র হিসেবে বিশেষ পরিচিতি ছিল তাঁর। এই বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হওয়ার পরে পরিবারের সঙ্গেই গড়ফা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ সুবর্ণজয়ন্তী ভবনের পাশে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান পড়ুয়ারা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সুজনের বাবা সুজয় সামন্ত পেশায় চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল তাঁর ছেলে। ঘটনার সময়ে তাঁকেই ভিডিও কল করেছিল ছেলে। কয়েক মিনিট কথাও বলে। কিন্তু তিনি দুঃস্বপ্নেও আন্দাজ করতে পারেননি, এমন কিছু ঘটতে পারে এই মুহূর্তেই! ফোন রাখার আগের মুহূর্তে সে বলেছিল, ‘বাবা, আমি ছাদ থেকে ঝাঁপ দিচ্ছি।’ এ কথা শুনেই বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন বাবা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
ছেলের অবসাদের কারণ কী, কেনই বা সে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিল, ভেবে পাচ্ছে না পরিবার। তবে এর আগেও দু’বার সুজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার।