রবিবার গুজরাতে ৮১ টি পুরসভা, ৩১ টি জেলা পঞ্চায়েত ও ২৩১ টি তালুক পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার গণনা শুরু হয়। শুরুতেই দেখা যায়, ৫৪ টি পুরসভায় বিজেপির প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। কংগ্রেস এগিয়ে আছে মাত্র দু’টি পুরসভায়। এছাড়া ১২ টি জেলা পঞ্চায়েতে এগিয়ে আছে বিজেপি। তালুক পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে তারা এগিয়ে আছে ৫১ টিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতে মোট ৮৪৭৪ টি আসন শূন্য ছিল। তার মধ্যে ভোট হয়েছিল ৮২৩৫ টি আসনে। বাকি আসনগুলিতে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে গুজরাতে ছ’টি পুরসভার মোট ৫৭৬ টি আসনের মধ্যে ৪৮৩ টিতে জয়ী হয় বিজেপি।
ছ’টি পুরসভার মধ্যে সুরাটে আম আদমি পার্টি জিতেছে ২৭ টি আসন। বাকি ৯৩ টি জিতেছে বিজেপি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রোড শো করে বলেন, সংখ্যাই শেষ কথা নয়। আমাদের একজনই বিপক্ষের ১০ জনের সমান। সুরাটের মানুষ আমাদের বিরোধীর ভূমিকায় দেখতে চেয়েছেন। আমরা সরকার পক্ষকে কোনও অন্যায় করতে দেব না। মানুষ কখনও অপমান ও ঔদ্ধত্য সহ্য করে না। যাঁরা কোনও সাহায্যের আশায় আমাদের কাছে আসবেন, আমরা তাঁদের ফিরিয়ে দেব না।
বিজেপির গুজরাত শাখার প্রধান সি আর পাতিল কেজরিওয়ালের মন্তব্যের জবাবে বলেন, আপ প্রার্থীদের এক বড় অংশের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এই প্রথমবার গুজরাতের পুরভোটে লড়াই করেছে আপ। তারা মোট ৪৭০ জন প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল। আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এআইমিম রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মোদাসা ও ভারুচ পুরসভায় প্রার্থী দিয়েছিল। গোধরা পুরভোটেও প্রার্থী দিয়েছিল ওয়াইসির দল। আমেদাবাদে ২১ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মিম পায় সাতটি আসন।
কিছুদিন আগে দিল্লির পাঁচটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হয়েছিল। তাদের তিনটি পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অন্তর্গত। দু’টি উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মধ্যে পড়ে। সেখানে ভোটের ফল প্রকাশিত হবে বুধবার।
দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি বিরোধী আসনে থাকলেও রাজধানীর তিনটি পুরসভা তারা নিয়ন্ত্রণ করে। আগামী বছরে সেখানে পুরনির্বাচন হবে। তাতে কী ফল হতে পারে বুধবারের ফলাফলে তার আভাস মিলবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
দিল্লির যে পাঁচটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হয়েছে, তার চারটি ছিল আপের দখলে। ওই ওয়ার্ডগুলির কাউন্সিলাররা পরে বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করেন। তাঁরা কাউন্সিলারের পদ থেকে ইস্তফা দেন। একটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলার ছিলেন বিজেপির রেণু জাজু। তিনি ২০১৯ সালে মারা যান।