মহামারীর সময় রাজ্যের একজন মানুষও যাতে অভুক্ত না থাকেন, তার জন্য গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সকলের কাছে রেশন পৌঁছে দিতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে রেশন কার্ড প্রতি ৫ কেজি চাল এবং ৫ কেজি গম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকারের এই নয়া প্রকল্প অনেক মানুষের না জানা থাকার সুযোগ নিয়ে ক্রমাগত দুর্নীতি করে চলেছেন বেশ কিছু রেশন ডিলার। অভিযোগ উঠেছে সরকারি চাল-গম কালোবাজারে বেচে দেওয়ার। যার ফলে সদিচ্ছা সত্ত্বেও মুখ পুড়ছে রাজ্য সরকারের। তাই এবার রেশন দুর্নীতি রুখতে এবার আরও কড়া অবস্থান নিল রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার নবান্নে (Nabanne)স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapana Banerjee)জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রেশনে বিধি ভাঙায় অন্তত ৪০০ জন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। রাজ্যে রেশন নিয়ে দুর্নীতি করার অভিযোগে ৫০ জনকে গ্রেফতার এবং ৬৫ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বেশ কিছু ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে (west bengal)১০ কোটি মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে বসে এমনটাই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, গরিব বড়লোক কোনওরকম শ্রেণিবিভাজন না করে প্রত্যেককে মহামারী সময় রাজ্যের নির্দিষ্ট করে দেওয়া ব্যক্তিপ্রতি রেশন বিনামূল্যে দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত মঙ্গলবারও বীরভূম, বর্ধমান-সহ একাধিক জেলায় নির্দিষ্ট পরিমাণে রেশন সামগ্রী না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে আসতে হয় পুলিশকে।
এই ধরনের ঘটনা যে সরকার কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না, মঙ্গলবার নবান্নে সেটাই বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে রাজ্যের মানুষ যাতে খেয়ে পড়ে সুস্থ থাকেন, সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব। ‘আমরা খাদ্য সাথী প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের ১০ কোটি মানুষকেই রেশন দিয়েছি। যাদের রেশন কার্ড রয়েছে তাদের ছাড়াও ৬৫ লক্ষ মানুষকে কুপনের মাধ্যমে রেশন দেওয়া হয়েছে।।’ এরপরেই তিনি জানান, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ৩৫৯ জন রেশন ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। ৬৫ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ২৫ জনকে জরিমানা ও ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ৪ দিনেই ২১ জন রেশন ডিলারকে শো কজ করা হয়েছে। এখনও নিয়ন্ত্রিত না হলে পরবর্তী সময়ে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।