বাংলার রাজনীতিতে ফের ফিরে এল ‘ছোট্ট ঘটনা’। সৌজন্যে অবশ্যই সেই তৃণমূল।
মধ্য কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে থাকা ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় তথা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনাকে ‘ছোট্ট ঘটনা’ বলে দাবি করলেন মুনমুন সেন।
বিতর্কের সূত্রপাত গত মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো নিয়ে। সেই শোভাযাত্রা ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতায় বিধান সরনী এবং কলেজ স্ট্রিট এলাকা। তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে। বিদ্যাসাগর কলেজের মধ্যে থাকা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে ফেলে হয়।
রবিবার সপ্তম দফার ভোটের দিনে এই ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙার ঘটনাকে ‘ছোট্ট ঘটনা’ বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা একটি অতি ক্ষুদ্র ঘটনা।”
ওই ঘটনার পরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পরে জাতীয় রাজনীতিতে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখেও এই ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে একাধিকবার। লালবাজারের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। তবুও এই ঘটনাকে ‘অতি ক্ষুদ্র’ বলেই মনে করছেন মুনমুন সেন।
অমিত শাহের রোড শো চলার সময়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের কর্মীরা। সেই সময়ে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি বাধে। সেই সময়েই বিদ্যাসাগর কলেজের বাইরে একাধিক বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মুনমুন সেন বলেছেন, “হিংসাকে বড় করে দেখানোর জন্যেই বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
অভিনেত্রী মুনমুন সেন ২০১৪ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই বছরে লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। এবারে আসানসোল কেন্দ্রে বিজেপির বাবুলকে হারাতে তাঁর উপরেই ভরসা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা।