২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে সাম্প্রতিক কালের মধ্যে রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। বিজেপি ও তৃণপমূলে এই নির্বাচনে সমানে সমানে টক্কর চলছে। তার ওপর রয়েছে সংযুক্ত মোর্চার শাসক দল ও বিজেপির ওপর চাপ। তাই নির্বাচনে অশান্তির আঁচ করেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ঠিক করেছে, এবার সবকটি ভোট কেন্দ্র থেকে ১০০ মিটার জায়গা কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে রাখবে। এ ছাড়াও প্রথম দফার নির্বাচন যে কোটি বুথে হতে চলেছে সেই সবকটি বুথকে সংবেদনশীল ধরেই যাবতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরী করেছে কমিশন।
যে কোনও রকম অশান্তি রুখতে নির্বাচিত কমিশন ঠিক করেছে প্রতিটি বুথকে ১০০ মিটার বৃত্তাকারে ঘিরে রাখবে সেনা বাহিনী বা কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পরের ১০০ মিটার থাকবে রাজ্য পুলিশের দখলে। অৰ্থাৎ বুথের ১০০ মিটার বৃত্তাকার জায়গার মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না রাজ্য পুলিশকে। রাজ্যে এবার করোনা আবহে নির্বাচন হচ্ছে। তাই ভোটারদের লাইন এবার বড় হবে। এছাড়া সবকটি রাজনৈতিক দলের বুথ থাকতে হবে এই ২০০ মিটারের বাইরে। তবে সংবেদনশীল নয় এমন বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশ থাকতে পারবে।
প্রথম দফায় দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ৩০টি বিধানসভার মোট ১০ হাজার ২৮৮টি বুথে নির্বাচন হতে চলেছে ২৭ মার্চ। কমিশন সূত্রে জানা গেছে এই সবকটি বুথে মোট ৬৫৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। প্রতিটি কোম্পানিতে ৮৬টি জন করে সেনা জওয়ান থাকছেন।
প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিশের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে বিরোধীরা বিশেষ করে বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়ে এসেছে। বীজে[পি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই বলতে শোনা গেছে এবার বুথের ধরে কাছে রাজ্য পুলিশ ঘেঁষতে পারবে না। এই নিয়ে সৌগত রায় , তৃণমূল সংসদ দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেছেন, দিলীপ ঘোষের নির্বাচনের নিয়ম জানা নেই। তাই তিনি এসব বলছেন। তাঁর জানা উচিত নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। এবার দেখা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষের কথাই মিলে গেলো