শ্রমিকদের কর্ম বিরতিতে অচল হয়ে পড়ল হলদিয়া বন্দর। বার্থে ঢোকার মুখে থমকে জাহাজ। বন্ধ পণ্য ওঠানো নামানোও।
শ্রমিকরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আজ দুপুর থেকে জহর টাওয়ারের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও খোলেনি জট। জানা গেছে, মেরিন হ্যাণ্ডস যারা রয়েছেন, তাঁরা সংখ্যায় কম। তাই দীর্ঘ দিন ধরে আরও মেরিন হ্যান্ডস নিয়োগের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন শ্রমিকরা। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই দিয়ে বেশ কয়েকবার বন্দরে শ্রমিক ধর্মঘটও হয়েছে।
বন্দরে আসা জাহাজগুলির কাছি ধরে টেনে বার্থে নিয়ে আসার দায়িত্ব এইসব মেরিন হ্যাণ্ডসদের। কিন্তু এখন এই সব শ্রমিকের সংখ্যা কমতে কমতে অর্ধেকে ঠেকছে বলে অভিযোগ। ফলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কাজের চাপ বেড়ে গিয়েছে । বুধবার পোর্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার হলদিয়াতে বন্দর পরিদর্শনে এসে বেশকিছু শ্রমিককে কাজে দেখতে না পেয়ে তাঁদের হাতে সাসপেনশন অর্ডার ধরিয়ে দেন। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা। এককাট্টা হয়ে কর্মবিরতির ডাক দেন তাঁরা। শ্রমিকদের দাবি, অবিলম্বে এই সাসপেনশন অর্ডার প্রত্যাহার করতে হবে, নইলে কর্মবিরতি লাগাতার চলবে।
অন্যদিকে পোর্টের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন মেরিন হ্যাণ্ডসরা কাজের ফাঁকি দিচ্ছেন দিনের পর দিন। যাঁদের সাসপেনশন অর্ডার ধরানো হয়েছে, ভুল স্বীকার করে লিখিত আবেদন করতে হবে তাঁদের। সংগঠনের তরফে আবেদন করলেও চলবে। তবেই সাসপেনশন তুলে নেওয়া হবে। দু’পক্ষের এমন টানাপড়েনে বার্থে ঢোকার মুখে জাহাজগুলি থমকে থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ।