এবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এসএসসি-র অনশনকারীদের কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তবে তিনি ও তাঁর দল যে ভোটের মুখে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিব্রত তাও পরিস্কার হয়ে গেল এদিন। বোঝা গেল, এসএসসির অনশনকারীদের নিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে বেজায় সমস্যায় পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার জেরে দোলের আবহাওয়াতেই তড়িঘড়ি সংবাদাকি সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানাতে বাধ্য হলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অনশনকারীরা ছাড়াও আরও অনেকেই এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন, পাশ করেছেন। সকলের ক্ষেত্রেই নিয়ম মেনেই সব কিছু হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “কার্যত সমস্ত চাকরির ক্ষেত্রেই মেরিট লিস্টের বাইরে একটা ওয়েটিং লিস্ট থাকে। এ ক্ষেত্রেও আছে। সেই ওয়েটিং লিস্ট কখনওই প্যানেল নয়।” অনশনকারীদের কটাক্ষ করে শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্নবোধক মন্তব্য, “যাঁরা আন্দোলন ও অনশন করছেন, তাঁদের মধ্যে সকলেই আদতে চাকরি পাওয়ার যোগ্য কি?” তাঁর আরও বক্তব্য, “এই আন্দোলন ও অনশনের প্রতি তাঁদের যতই সমবেদনা থাকুক না কেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ নিতে বলা হবে এসএসসিকে।” ২৩ দিন ধরে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি কমিটি করে আলোচনার বন্দোবস্ত করা হবে বলেও এদিন আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
পার্থর আজকের সাংবাদিক সম্মেলনের পর স্পষ্ট হয়ে গেল, লোকসভা ভোটে এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীদের অনশনের বিষয়টি যে বড় ইস্যু হয়ে উঠতে পারে বিরোধী দলগুলোর কাছে, সেই আশঙ্কা করছে তৃণমূল। অনেকটা পরামর্শের সুরে পার্থ বলেন “শিক্ষকতার মতো একটা পেশার ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতা বিসর্জন দিয়ে অন্য কোনও ফ্যাক্টরকে অগ্রাধিকার দেওয়া সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “আন্দোলনকারীরা যতই দাবি করুন না কেন তাঁরা রংহীন ভাবে এবং অরাজনৈতিক ভাবে প্রতিবাদ করছেন, অনশন করছেন, কিন্তু আদতে এ আন্দোলন সত্যিই কতটা অরাজনৈতিক তা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে।” এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে কখনও সুজন চক্রবর্তী, কখনো দিলীপ ঘোষ, কখনো বা সোমেন মিত্রকে দেখা গিয়েছে। নাম না করে এহেন রাজনীতিকদের আগমনকে যে রাজ্য সরকার ভালো চোখে দেখেনি তাও উল্লেখ করেন পার্থ। বলেন,”এ আন্দোলন যদি রাজনৈতিকও হয়, তা হলেও তার সমাধান আইনের পথ ধরেই হবে। নিয়ম ও আইনের বাইরে কোনও কিছুই অধিক গুরুত্ব পাবে না।”