গত সোমবার দেশে ৮৮ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আচমকাই সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫৪ লক্ষ ২২ হাজার। এরপর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম টিকাকরণ নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই কটাক্ষের জবাব দিলেন নড্ডা। তিনি বললেন, দেশের মানুষের সহযোগিতায় টিকাকরণ দ্রুতগতিতে এগচ্ছে। তা পছন্দ হচ্ছে না বিরোধীদের।
নড্ডা টুইট করে বলেন, “ভারত খুঁড়িয়ে হাঁটছে না। নাগরিকদের সাহায্যে দ্রুতগতিতে চলছে টিকাকরণ। সোমবার টিকাকরণে রেকর্ড হয়েছে। মঙ্গল ও বুধবারও ৫০ হাজারের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। কংগ্রেসের তা পছন্দ হচ্ছে না।”
চিদম্বরম মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “রবিবার ভ্যাকসিন জমাও, সোমবার দাও। মঙ্গলবার ফের আগের অবস্থায় ফিরে যাও। এই হল টিকাকরণের বিশ্ব রেকর্ডের পিছনের রহস্য।” অর্থাৎ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন, বাস্তবে প্রতিদিন ৮৮ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার মতো যথেষ্ট সংখ্যক ভ্যাকসিন সরবরাহ করেনি কেন্দ্র। কয়েকটি রাজ্য আগে থেকে ভ্যাকসিন জমিয়ে রেখেছিল বলেই একদিনে ৮৮ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু পরদিন তা আর সম্ভব হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে চিদম্বরম বিজেপির ২০১৯ সালের ভোটের স্লোগান স্মরণ করিয়ে দেন, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। পরে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত, যেভাবে ভারতে টিকাকরণ চলছে, তা একদিন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাবে। মোদী সরকার হয়তো চিকিৎসায় নোবেল প্রাইজও পেতে পারে।” শেষে তিনি বলেন, ‘মোদী হ্যায় তো মিরাকল হ্যায়’।
অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশ সহ কয়েকটি রাজ্য আগে থেকে বিপুল পরিমাণে ভ্যাকসিন জমিয়ে রেখেছিল। তাই সোমবার ৮৮ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যে ১০ টি রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে, তার সাতটিতেই ক্ষমতায় আছে বিজেপি। মোদী সরকার স্থির করেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গেলে প্রতিদিন ৯৭ লক্ষ মানুষকে টিকা দিতে হবে। সরকারের দাবি, রোজ এতজনকে টিকা দেওয়ার সামর্থ্য তার আছে।
বুধবার সকালে জানা যায়, দেশে দৈনিক আক্রান্ত আবারও ৫০ হাজার পার হয়েছে। মঙ্গলবারই ৪২ হাজারে নেমে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের সকালের বুলেটিন বলছে, দেশে একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ৮৪৮ জন। কোভিডে দৈনিক মৃত্যুও ১৩০০ জনের বেশি। সংক্রমণের হার কয়েকটি রাজ্যে কমেছে, তবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে কোভিডের ডেল্টা প্লাস প্রজাতি।