আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মথুরাপুরে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার কয়েক ঘন্টা আগে মোদীর সভাস্থল থেকে ৬-৭ কিলোমিটার দূরে সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এই দুই সভাকে কেন্দ্র করে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ তথা এসপিজি। এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে এ দিন সকালেই রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন এসপিজি-র আইজি প্রধান যশবন্ত কে জেঠওয়া। তাঁর বক্তব্য, কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য যেন সব রকমের ব্যবস্থা নেয় রাজ্য সরকার।
এসপিজি-র ইন্সপেক্টর জেনারেল যশবন্ত কে জেঠওয়া এবং রাজ্যের ইন্টালিজেন্স ব্যুরো এডি পি গ্যাটসো এখন মথুরাপুরে ক্যাম্প অফিস করে রয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁরা দু’জনে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন মথুরাপুরে। ডিজিকে দেওয়া চিঠিতে গ্যাটসোরও সই রয়েছে। ডিজি বীরেন্দ্রর পাশাপাশি ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের এডিজি ইন্টালিজেন্স, এডিজি আইনশৃঙ্খলা, সাউথ জোনের আইজি এবং ডিরেক্টর সিকিউরিটিকে।
মথুরাপুরে মোদী-মমতার জনসভা অবশ্য একই দিনে হওয়ার কথা ছিল না। বৃহস্পতিবার মোদীর সভার পর শুক্রবার মমতার সভা করার কথা ছিল। কিন্তু বাংলায় নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার বুধবার রাতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা এগিয়ে এনে বৃহস্পতিবার রাত দশটার মধ্যে সব পক্ষকে প্রচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন সদন। কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের পরেই শুক্রবারের সভা এগিয়ে আনেন মমতা। বুধবার রাতে তিনি ঘোষণা করে দেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় মথুরাপুরে সভা করবেন তিনি। মমতা কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য এই পদক্ষেপ কারণ বৃহস্পতিবার বাংলায় দুটি সভা আছে মোদীর।” পাল্টা চ্যালেঞ্জের সুরে মমতাও জানিয়ে দেন, তিনিও ছাড়বেন না।”
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য, বাংলায় রাজনৈতিক উত্তাপ কতদূর গত পরশু তা আঁচ করা গিয়েছে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-র সভাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার হয়েছে কলকাতায়। এর পর আর ঝুঁকি নেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সভা করবেন তা মোদীর সভাস্থলে কাছেই। গোটা জেলা থেকে দু’জনের সভায় লোক আসবে। ফলে রাস্তাঘাটে পরস্পরের মুখোমুখি হবেই। ফলে কোনও রকম সংঘর্ষ বা হিংসার ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন।