শোক পালনের মধ্যে বেজে উঠল মোবাইল ফোন, ‘বিধানসভা ক্লাব নাকি’, রেগে গেলেন স্পিকার

চলছিল শোকপালন, বেজে উঠল মোবাইল ফোন!

সোমবার থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিত, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি-সহ প্রয়াতদের উদ্দেশে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করার পর নীরবতা পালন চলছিল। কিন্তু তার মধ্যেই বেজে উঠল মোবাইলের রিংটোন। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “বিধানসভাকে ক্লাবে পরিণত করবেন না।”

অধ্যক্ষের নির্দেশেই তড়িঘড়ি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সদস্যদের উদ্দেশে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেউ যেন সেলুলার ফোন, পকেট রেডিও, পেজার বা অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিকস জিনিস নিয়ে না ঢোকেন। শোকপালনের শেষে সিপিএম.বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারপরই স্পিকার বলেন, “এটা কী হচ্ছে! কেউ ঘোরাঘুরি করছেন, কারও মোবাইল বেজে উঠছে! বিধানসভাকে ক্লাবে পরিণত করবেন না।”

এমনিতে রাজ্য বিধানসভায় প্রবল বিতর্কের মধ্যেও বিধায়ক বা মন্ত্রীকে ঘুমোতে দেখা গিয়েছে আগে। কিন্তু এমন ফোন বেজে ওঠার ঘটনা প্রথম। আর তাতে যারপরনাই বিরক্ত অধ্যক্ষ। নিয়মানুযায়ী অধিবেশন কক্ষে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি থাকে না। কিন্তু আইনসভায় যাঁরা আইন তৈরি করেন তাঁরা যে সে নিয়মের খুবই তোয়াক্কা করেন তেমনটা একেবারেই নয়। বহু বিধায়কই ফোন নিয়ে ঢোকেন। অধিবেশনের ফাঁকে ফাঁকে আড়াল করে দেখে নেন। কিন্তু ফোন থাকে সাইলেন্ট মোডে।

অন্য রাজ্যে এর আগে দেখা গিয়েছে জনপ্রতিনিধি অধিবেশন কক্ষে বসে মোবাইলে ভিডিয়ো দেখছেন। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের মতে, অধ্যক্ষ সঠিক কথাই বলেছেন। এই যদি আইনসভার সদস্যদের শৃঙ্খলাবোধ হয়, তাহলে সমাজেও খারাপ বার্তা যাবে। অধ্যক্ষ সেটাকেই রুখতে চেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.