সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সেই নির্বাচনের আগেই লোকসভায় বাংলা জুড়ে গেরুয়া ঝড়। যা দেখে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি নেতাদের হুঁশিয়ারি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে তৃণমূল সরকার ভেঙে দেওয়া হবে। যা কিনা যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্বের কপালে। আর যেভাবে বাংলাজুড়ে গেরুয়া সুনামি উঠেছে লোকসভার ফলাফল তা দেখেও চাপ বেড়েছে শাসকদলের।
এই অবস্থায় তৃণমূল তাদের হারানো জমি ফিরে পেতে ভোট স্ট্র্যাটিজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, তাঁর পরামর্শেই এখন সব কাজ করছে তৃণমূল। এমনকি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাকি পিকের দেখানো পথেই হাঁটছেন। আর এই ভোট স্ট্যাটিজিস্টকে ‘ঠিকাদার’ বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়।
গত ১৪ আগস্ট দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন কলকাতার এই প্রাক্তন মেয়র। গত কয়েকদিন আগে প্রথমবারের জন্যে কলকাতায় বিজেপির রাজ্য অফিসে আসেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
পিকে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরকে সম্পর্কে শোভন বলেন, আমরা যাঁরা দীর্ঘদিন কলকাতা পুরসভার সঙ্গে জড়িত, তাঁরা ঠিকাদারদের উপর নির্ভরশীলতার কথা জানি। ২০২১ সালে ভবিষ্যতের দেওয়াল লেখা হয়ে গিয়েছে।
তৃণমূলের জনসমর্থন এমন তলানিতে নেমেছে, যে ঠিকাদার প্রথায় একজনকে ভাড়া করে নিয়ে আসতে হয়েছে। আক্ষেপের সুরে শোভন বলেন, এই দলটাকে গড়তে গিয়ে কত রক্ত-ঘাম ঝরেছে, কত মিটিং-মিছিল করতে হয়েছে। আর এখন দলের ভাবমূর্তি উদ্ধারে ঠিকাদারের মতো স্ট্রাটেজিস্ট ভাড়া করতে হচ্ছে।