দিল্লী উড়ে গেলেন শোভন-বৈশাখী! মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫০-এর এআই-০১২ বিমানে রওনা হন তাঁরা। তবে তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আচমকা এই সফর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মত “এক ঢিলে তিন পাখি” এমন কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছেন কলকাতা প্রাক্তন মেয়র।
গত রবিবার দুপুরে তাঁর গোলপার্কের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত রতন মুখোপাধ্যায়। রটে যায় দিদি তাঁর কাননকে দলে ফেরার বার্তা পাঠিয়েছেন। অবশ্য বৈঠকের অভ্যন্তরীণ কারণ ছিল একেবারেই ব্যক্তিগত। সম্প্রতি রতন মুখোপাধ্যায়ের মা মারা গিয়েছেন। আগামী ৬ জুলাই তাঁর মায়ের শ্রদ্ধানুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে আসার জন্য শোভনকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন রতন। ঘটনাচক্রে ৭ জুলাই আবার শোভনের জন্মদিন।
গত বছর ৬ জুলাই গভীর রাতে তার গোল পার্কের বাস ভবনের নিচে হয়েছিল ব্যাপক হাঙ্গামা। ওইদিন রাতে শোভনের ছেলেমেয়ে গোল পার্কের বাড়ির নিচে বাবার দেখা না পেয়ে কেক কেটে তাঁর জন্মদিন পালন করে তা ফেসবুক লাইভে প্রচার করেছিলেন। জানিয়ে পরবর্তী সময় বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। সম্প্রতি আবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কলকাতার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিভিন্ন মন্তব্যে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যা একেবারেই না পসন্দ বলে ঘনিষ্ট মহলে জানিয়েছেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক। তাই বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে দিল্লি যাত্রা করে কার্যত এমন যাবতীয় সম্ভাবনার কথা খারিজ করে দিলেন ঝানু রাজনীতিক শোভন।
একদিকে যেমন ৬ জুলাই রতন মুখোপাধ্যায়ের মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন না। তেমনি ৭ জুলাই নিজের জন্মদিনেও শহর কলকাতায় থাকবেন না প্রাক্তন মেয়র। আবারও দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের খবর চাউর হলে তৃণমূলের তাঁর ফিরে আসার সম্ভাবনাও পুরোপুরি খারিজ হয়ে যাবে। এমন ভাবনা থেকেই কার্যত “এক ঢিলে তিন পাখি” মারলেন একদা মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন কানন!