আবারও ত্রাতার ভূমিকায় তিনি! এবারও মুকুল রায়ের হস্তক্ষেপ আপাতত বিজেপি ছাড়ছেন না শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়।
সোমবার রাতে দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাসভবনে দফায় দফায় বৈঠক হয় শোভন- বৈশাখীর। তারপরই বিজেপির সঙ্গে যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল, তা পুরোপুরি মিটে গিয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তবে শোভন-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে বিজেপির কার্যকারি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গেও শোভন-বৈশাখী দেখা করেছেন বলেও খবর। জে পি নাড্ডা ইতিমধ্যেই ফোনে দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এই বিষয়ে যা সমস্য তৈরি হয়েছে, তা নিজেরা বসে মিটিয়ে নিতে বলেছেন। নাড্ডাও তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন একাধিক সমস্যার সমাধান করতেন তুড়ি মেরে। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার কথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পারতেন তার সমাধান হওয়ার পরে। বাংলার রাজনীতিতে “ক্রাইসিস ম্যানেজার” শিবির বদল করেও নিজের ভূমিকা এতটুকু বদলাননি। সেই মুকুল রায়ের হস্তক্ষেপে আপাতত শোভন- বৈশাখী গেরুয়া শিবিরে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত ১৪ আগস্ট দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গত রবিবার আচমকাই বৈশাখী সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দেন, নতুন দলে যোগদানের পর থেকেই অপমানিত হতে হচ্ছে তাঁদের। তাই দল ছাড়তে চান তাঁরা।
সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগদানের পর এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল যা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না শোভন-বৈশাখী। শেষমেশ এক পক্ষকালের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তারা। কিন্তু এ যাত্রায় বিজেপি নেতৃত্ব ও শোভন-বৈশাখী মধ্যে আবারও সেতুবন্ধন করলেন মুকুল। আপাতত সমস্যা মিটিয়ে তাই গেরুয়া শিবিরে থেকে যাচ্ছেন হাইপ্রোফাইল এই রাজনৈতিক জুটি।