রাজীব কুমার কোথায় আছেন তা জানা নেই কারোর, তাঁকে খুঁজতে চলেছে রাতভোর তল্লাশি অভিযান। সিবিআইয়ের নতুন দল তাঁর খোঁজে হানা দিয়েছে নানা চেনা-অচেনা জায়গায় তবে এবিষয়ে কোন পাকা খবর দিতে পারছে না। তাতেই আরও বেশি ঘুরে যাচ্ছে এই অভিযান। সিবিআই আধিকারিকেরা বিরক্ত। বারবার উঠছে অসহযোগিতার কথা। তাই শোনা যাচ্ছে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে চায় সিবিআই।
সিজিও কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার সকালেই তাঁরা বিশেষ ‘অপারেশন’-এ নিযুক্ত হন। মঙ্গলবার ডিজিপির চিঠি হাতে পাওয়ার পর থেকেই রাজীব কুমারের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করে সিবিআই। রাতে বিশেষ বৈঠকেও বসেন সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার সকালেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে যান জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। ১৪ জনের এই দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রায় দেড় ঘণ্টা বারাসাত আদালতে সওয়াল-জবাব চলে। তারপরই আগাম জামিনের আর্জি ফিরিয়ে বিচারক বলেন, এই মামলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার অধীন। বারাসাত কোর্টের এক্তিয়ার নেই এনিয়ে রায় দেওয়ার। সিবিআই এবং রাজীব কুমার দুই তরফের মামলাকে আলিপুর আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আগেই নবান্নের তরফে সিবিআইকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে রয়েছেন রাজীব কুমার। ১৭ দিনের ছুটিতে আছেন এডিজি সিআইডি। পাশাপাশি, চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে সিবিআই-এর সমন রাজীব কুমারের বাসভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্য প্রশাসনের এহেন উত্তর মোটেই ভালোভাবে দেখছেন তদন্তকারীরা আধিকারিকরা।
বুধবার রাতেই বিভিন্ন জায়গায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু কোথায় রাজীব কুমার, সেব্যাপারে কোনও সদুত্তর মেলেনি এখনও। তাই বৃহস্পতিবার সকালেই দফায় দফায় বৈঠক হয় আধিকারিকদের। বৈঠকের পর ফের অভিযানে যাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, শুধুমাত্র রাজীব কুমারের সন্ধান পেতে কলকাতায় এসেছেন সিবিআই-এর একাধিক বিশেষ আধিকারিক। সাতদিনের জন্য আনা হয়েছে তাঁদের। তাঁদের নিয়েই চলছে বৈঠক।