বাগড়ি মার্কেট, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, গড়িয়া হাট ট্রেডার্স অ্যাসেম্বলি এবং শুক্রবার এক্সাইড মোড়ের একটি বহুতল। শেষ চার পাঁচ মাসে শহরের বেশকয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে আগুন লাগে। পাশাপাশি গনেশ টাকিজের নির্মীয়মান বিবেকানন্দ সেতু থেকে মাঝেরহাট ব্রিজ সময় সুযোগে ভেঙে পড়েছে। এতেই রীতিমতো ভয়ে রয়েছেন কলকাতার মানুষ।
শুক্রবার সকালেই ভয়াবহ আগুন লাগে এক্সাইডের কাছে ৬০ চৌরঙ্গী রুফটপে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা৷ সঙ্গে তীব্র যানজট৷ দমকলের কর্মীরা মাস্ক পরে বহুতলের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন৷ আগুনের গ্রাসে দীর্ঘক্ষণ থাকার পরে ওই বহুতলের ছাডের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছ৷ বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে দেওয়ালেও। ৫টি দমকল ইঞ্জিনের কয়েকঘন্টার পরিশ্রমে শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এক্সাইডের ৬০ চৌরঙ্গী রুফটপের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানির অফিস রয়েছে। অফিস টাইমে অফিস এসে কর্মীরা দেখেন যে সেখানে আগুন জ্বলছে। স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। পাশাপাশি আগুন লাগার পর বিল্ডিংয়ে থাকা কর্মীদেরও সুস্থভাবে বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে দমকল। কিন্তু যদি এটা না হত? এমনই প্রশ্ন তুলছেন ৬০ চৌরঙ্গী রুফটপের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা অফিসযাত্রীরা।
এক্সাইডেই একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন রুমা বসু। কলকাতা২৪x৭-কে তিনি বলেন, “আজকাল রাস্তায় বেরোতেই ভয় লাগে৷ কখন ব্রীজ ভাঙছে, কখন আগুন লাগছে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই। সকালে বেরিয়ে সন্ধ্যেতে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরব এ আশা করতেও সন্দেহ হয়। শহরের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা এবার ভেবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ সরকারের।”