যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত অশিক্ষিতদের নিয়ে কিছু কথা

স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত , কিন্তু সেভাবে দেখলে তারা অশিক্ষিত। তারা দেশের বিরুদ্ধে বলে তারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে বলে। তারা কেবল বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই। তারা এটুকুও জানে যে সিএএ কী? বিলে আদৌ কী লেখা আছে?

না জানে না । কিছু কথা ,কিছু প্রোপাগান্ডা , কিছু দ্রোহ….নিজেরা বুর্জোয়া সেজেই থাকে ,মাথা নষ্ট করে সাধারণ প্রলেতারিয়েত শ্রেণীর।

এর আগেও মানে যখন ধরুন পশ্চিমবঙ্গে গৈরিক রাজনীতির কোনো উত্থান হয়নি তখনও কিন্তু রাজ্যপাল, উপাচার্যের বিরোধিতা এরাই করেছে। যুগ থেকে যুগান্তে এরাই কেন এমন করে? এটাই কী শিক্ষিতের পরিচয়? ঋষি অরবিন্দ যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন তার কি পরিণতি হবে দেশদ্রোহের আখড়া হিসাবে?

আচার্যকে অপমান করা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরম্পরাগত ঐতিহ্য। এবারও তার অন্যথা হয়নি। মেয়েটির নাম দেবস্মিতা চৌধুরী। তিনি নিজেকে কমরেড বলেন। তিনি সিএএ আইনের বিরোধিতা করে একটি কাগজ (আইনি) ছিঁড়েছেন এবং সংর্বধনা নেননি। তাঁকে অনুসরণ করে আরো কিছু ছাত্র। এখন প্রশ্ন হল যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের জন্য কয়েক হাজার উদ্বাস্তু অত্যাচারিত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান হাঁ করে চেয়ে বসে যন্ত্রণার অশ্রুপাত করেছেন দিনের পর দিন তাঁদের জন্য আইনকে এই কমরেড অবমাননা করেন কী করে?

তাঁদের জন্য আনা আইনকে বিরোধিতা করে কেমন করে নিজেদের খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি বলেন? আর প্রশ্ন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী করে , আপনি কি এই অধঃপতন দেখেছেন মিস্টার চট্টোপাধ্যায়?

আর ধন্যবাদ জয়দীপ ধনখড়কে যিনি এত বিরোধীতার মুখেও শান্ত হয়ে সমাবেশে বিরোধীদের কথা শুনেছেন, আবাহন করেছেন ভবনে আলোচনার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.