হিন্দুদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ মোটেই নিরাপদ নয় : বিশ্বহিন্দু পরিষদ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে রাজ্যে ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে৷ পশ্চিমবঙ্গে একেবারেই সুরক্ষিত বা নিরাপদ নন হিন্দুরা৷ এমনই মত বিশ্বহিন্দু পরিষদের৷ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিশ্বহিন্দু পরিষদের আবেদন এনআরসি প্রসঙ্গে তিনি যেন আর কোনও মন্তব্য না করেন৷

এনআরসির বিরোধিতা করে রাজ্যের হিন্দুদের বিপদে ফেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনই মত বিশ্বহিন্দু পরিষদের৷ পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের হিন্দুদের প্রতি তাঁর বৈষম্যমূলক আচরণ বেশ দৃষ্টিকটু৷

টাইমস নাওতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ বিশ্বহিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারাম্বে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন৷ তিনি বলেন এনআরসির হাত থেকে বাঁচতে বেশ কিছু উলটোপালটা দাওয়াই দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলছেন যে সব নথি হারিয়ে গিয়েছে, তার ক্ষেত্রে স্থানীয় থানায় গিয়ে এফআইআর করতে৷ কিন্তু এটা কোনও পথ নয়৷

মিলিন্দের অভিযোগ রাজ্যে বেশ কিছু হিন্দু বিরোধী কাজে উস্কানি দিচ্ছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী৷ এনআরসিতে বাধা দিয়ে রাজ্যের হিন্দুদের স্বার্থকেই আঘাত করছেন মমতা, বলে মত মিলিন্দের৷ এদিন মিলিন্দ বলেন রাজ্যে একাধিক লাভ জিহাদের মত ঘটনা ঘটলেও, মমতার সরকার বিশেষ একটি ধর্মের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি৷ একতরফা তদন্ত হয়েছে৷

টাইমস নাওতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে মিলিন্দ বলেন রাজ্যে এনআরসি হবে না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিলেও, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ কারণ এনআরসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রচারের জন্য নয়, কেন্দ্র এই এনআরসি চালু করবে দেশের বৈধ অভিবাসীদের জন্য৷ তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য৷ এর আগে, বিশ্বহিন্দু পরিষদ জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ২১টি দীর্ণ-জরাজীর্ণ রামমন্দিরকে সংস্কার করতে চায় তারা৷ অযোধ্যার রামমন্দির ইস্যু সারা দেশেই আলোচ্য বিষয়। কিন্তু, রাজ্যে পুরোনো এই রাম মন্দিরগুলিকে সংস্কার করতে চেয়ে চমক দিয়েছে পরিষদ। পরিষদের তরফ থেকে বলা হয় রাজ্যে এইরকম রামমন্দিরগুলিকে চিহ্নিত ইতিমধ্যেই করা হয়ে গিয়েছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ ইচ্ছুক। প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলা হবে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অখিল ভারতীয় সহ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “সারা বাংলায় প্রায় ১০০ জরাজীর্ণ মন্দির চিহ্নিত হয়েছে। ২১টি রাম মন্দির আছে। সেখানে পূজা-পাঠ এবং ভক্তদের আরাধনা চলে।”

মন্দির সংস্কারের পাশাপাশি হিতচিন্তক অভিযান শুরু করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। লক্ষ্য, পশ্চিমবঙ্গে দুই লাখ নতুন সদস্য তৈরি করতে হবে। নভেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে পয়লা ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বাংলার গ্রামে গ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.