মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে পানের পিক! পরিষ্কার করে দিলেন বিজেপি নেতা

বিভেদের রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে এমন এক কাজ করলেন বিজেপির নেতা, যেটার জন্য প্রশংসা হচ্ছে চারিদিকে। উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি শহরে তৃণমূলের তরফ থেকে বড়বড় ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল। সেই ফ্লেক্সে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসি মুখে ছবি দেওয়া ছিল। সেই ছবি সহ ফ্লেক্সে কেউ বা কারা পানের পিক ফেলে দিয়ে যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্স নোংরা দেখতে পেয়েই তৎপর হন বিজেপির নেতা অখিল বিশ্বাস। তিনি দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীরর ফ্লেক্স থেকে সেই পানের পিক মুছে তবেই নিস্তার নেন। ওনার এই সম্প্রীতির রাজনীতির চর্চা হচ্ছে গোটা শিলিগুড়ি শহর জুড়ে। নিজের দল তো বটেই, শাসক দল তৃণমূলের তরফ থেকেও ওনার প্রশংসা করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গ সফরে আছেন। আর ওনাকে স্বাগত জানাতে শিলিগুড়িতে ওনার ছবি দিয়ে বড়বড় ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে একটিতে পানের পিক ফেলে দেয় কেউ। আর বিজেপির নেতা অখিল বিশ্বাস সেটা দেখতে পেয়েই পরিস্কার করে দেন।

একদিকে যেমন ওনাকে নিয়ে শহর জুড়ে প্রশংসা হচ্ছে, তেমনই ওনাকে নিয়ে আবার গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন যে, তিনি বিজেপি ছেড়ে শাসক দলে যোগ দেওয়ার জন্য এই কাজ করে মানুষের নজর কাড়তে চাইছেন। যদিও, ওনাকে নিয়ে ওঠা সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন অখিলবাবু।

বিজেপি নেতা অখিল বিশ্বাসের এহেন সম্প্রীতির রাজনীতির ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ির কোর্টমোড় এলাকায়। অখিল বিশ্বাস বিজেপির লিগাল সেলের নেতা। আবার উনি শিলিগুড়ির সহ-সভাপতির পদেও রয়েছেন। অখিলবাবু জানান, আমার এই কাজ করায় কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার আগে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এরপর উনি কোনও রাজনৈতিক দলের নেত্রী। আমার এই বিষয়টি দৃষ্টিকটূ লেগেছিল, সেই কারণেই আমি পরিস্কার করেছি।

আরেকদিকে, এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়ে দার্জিলিং জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার জানান, ‘অখিল বিশ্বাসকে বিজেপির নেতা হিসেবে নয়, একজন বন্ধু হিসেবেই চিনি। ওনার এই কাজে আমি খুব খুশি। হয়ত কেউ ভুল করে এই কাজ করেছিল, উনি দেখে ফ্লেক্সটি পরিস্কার করে দেন। এই বিষয়ে আমজনতাকেও সজাগ থাকতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.