শুরুটা হয়েছিল উনিশের লোকসভা ভোটের আগে। একুশের বিধানসভার আগে তাতে আরও ধার বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা রোজ বলছেন, বিজেপি বাংলার বাইরের পার্টি। ওদের নেতারা ভাল করে বাংলা বুঝতে পারে না, বলতেও পারে না। শনিবাসরীয় দুপুরে খড়্গপুরের জনসভা থেকে তা নিয়েই যেন পাল্টা তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন মোদী বলেন, “বিজেপি জনসংঘ থেকে তৈরি হওয়া পার্টি। জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কে? জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। বিজেপির ডিএনএ-তে রয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি আর আশুতোষ মুখার্জির বিচারধারা।” তিনি আরও বলেন, “আমি ব্রিগেডের সভাতেও বলেছিলাম, বাংলার কাছে বিজেপি ঋণী।”
২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের পর পুরুলিয়ায় ‘বলরামপুর কিলিং’ হয়েছিল। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিন বিজেপি কর্মীরঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানে। তারপর রাঢ় বাংলার ওই জনপদে এসে অমিত শাহ জনসংঘ, বাংলা, শ্যামাসাদকে জুড়ে দিতে চেয়েছিলেন। হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, “দিদি, আমাদের ভয় দেখাবেন না। আমরা জনসঙ্ঘ করা লোক। যে জনসঙ্ঘের জন্ম দিয়েছিলেন বাংলার ভূমিপুত্র, ভারতমাতার বীর সন্তান শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি।”
ইদানিং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় নেতাদের বাংলা উচ্চারণ নিয়ে টিপ্পনি কাটছেন। বলছেন, “বলছে সুনার বাংলা গড়বে। সোনার বাংলা উচ্চারণ করতে পারে না। দিলীপ ঘোষ গরুর দুধ থেকে সুনা বের করবে আর নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ তা দিয়ে সুনার বাংলা গড়বে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “বাইরে থেকে সব লোক আসছে, কপালে তিলক কাটছে, মুখে পান বাহার চিবোচ্ছে আর দু’দিক দিয়ে লাল লাল গড়াচ্ছে, বলছে মেরে দেব, কেটে দেব, ফাটিয়ে দেব।”
তৃণমূল যখন বিজেপিকে বহিরাগত তথা বাংলার বাইরে প্রমাণ করতে মরিয়া, তখন মোদী এদিন বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর দলের ডিএনএ-তে বাঙালিয়ানা বহমান।