‘আমার প্রান সংশয় হতে পারে’, আতঙ্কে ভুগছেন মুকুল-পুত্র

শুধু অর্জুন নয়, প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন আরও দুই নেতা। ভোটের পর থেকেই অশান্ত ভাটপাড়া ও তার আশেপাশের এলাকা। সেখানেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুও। একই আশঙ্কা সুনীল সিংয়ের।

শনিবার বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বলেন, “আমি সূত্র থেকে এরকম খবর পাচ্ছি যে রাজ্যের শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকা দুষ্কৃতীরা পুলিশের মদতে আমার বাড়িতে হামলা করতে পারে, এমনকি আমি প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করছি।”

তিনি জানান, তিনি যখন তৃণমূল কংগ্রেস দলের বিধায়ক ছিলেন, তখন প্রথমে তাঁর ৬ জন নিরাপত্তারক্ষী ছিল। পরে কমিয়ে ৪ জন নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়। এরপর অন্য দলে যেতেই সব নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে।তৃণমূলের শাসনে জন প্রতিনিধিরা নিরাপত্তা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অন্যদিকে, নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং বলেন, “একজন সাংসদ যেখানে সুরক্ষিত নেই, সেখানে আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি । বিজেপিতে যোগদান করার পর আমার সব নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নেওয়া হয়েছে । আমি বিষয়টি ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ও বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।”

সম্প্রতি ভাটপাড়ার মেঘনা মোড় এলাকায় সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে ব্যপক বোমাবাজি হয় এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে । সেই ঘটনায় ভাটপাড়া পুরসভার বিজেপি পুরপ্রধান সৌরভ সিং আশঙ্কা প্রকাশ করে ছিলেন, তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেই রাজ্যের শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সাংসদের বাড়ির সামনে বোমা,গুলি নিয়ে হামলা করেছিল। যদিও ওই হামলার সময় দিল্লিতে লোকসভার অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।

শুক্রবার রাতে ভাটপাড়ার বাড়িতে ফেরেন অর্জুন। শনিবার তিনি নোয়াপাড়া এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে এসে সাংবাদিকদের বলেন, “যেখানে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা সেই বাড়িতে সাংসদ, বিধায়ক, পুরপ্রধান তিনজন থাকে। ওই ঘটনা পুলিশের মদতে হয়েছে। পুলিশের পোশাক পরা গুন্ডারা যে কোনও মুহুর্তে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করতে পারে। শুধু আমি নই, যে বিজেপি জন প্রতিনিধিরা তৃণমূল কংগ্রেস দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছে সেই জন প্রতিনিধিরা কেউ নিরাপদ নেই। সবাই শাসক দলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে পারে।”

পুলিশের পোশাক পরা ছদ্মবেশী দুষ্কৃতীরা এই হামলা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার যতদিন এই অঞ্চলের দ্বায়িত্বে থাকবে, ততদিন বিজেপি কর্মীরা নিরাপদ নেই বলেই দাবি তাঁর। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের বদলে নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.