মাত্র ১৫ দিনেই দেশের প্রায় ১২ লক্ষ অসংগঠিত শ্রমিক যুক্ত হলেন ‘শ্রমযোগী মানধন’ প্রকল্পে। বাজেটে দেশের অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য এই পেনশন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন সাময়িক ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটি চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নথি বলছে, এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তিকরণের পর থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক উতসাহ দেখা গেছে। যা দেখে সরকারের অনুমান, অদূর ভবিষ্যতেই নাম নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নাম নথিভুক্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের রাজ্যভিত্তিক তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে গুজরাত, দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র, তৃতীয় স্থানে হরিয়ানা। প্রথম ৭-এ নেই পশ্চিমবঙ্গ।
এই ব্যাপারে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন, এই সরকারের এক্সপায়ারি ডেট ফুরিয়ে গিয়েছে। এদের কাছ থেকে রাফালের নথি চুরি যাচ্ছে। এদের হাতে দেশ সুরক্ষিত নয়। সামনেই ভোট। তাতে হারবে জেনে, এখন বিভিন্ন প্রকল্পের নামে মানুষকে ধাপ্পা দিতে চাইছে।’ জবাবে, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, ‘রাজ্য সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ। এই সরকার কোনও প্রকল্পের সঠিক হিসেব দিতে পারে না। সেই জন্যই অন্য রাজ্যগুলো এগিয়ে যাচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, ‘শ্রমযোগী মানধন’ প্রকল্প দেশের অসংগঠিত শ্রমিকদের সুরক্ষায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। এতদিন, দেশের সংগঠিত শ্রমিকরা নানা সুবিধা পেলেও, অসংগঠিত শ্রমিকরা ছিলেন ব্রাত্য। রাজমিস্ত্রি, রিকশাচালক, ঠেলাচালকের মতো সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সেই অর্থে কোনও পেনশন প্রকল্প ছিল না। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে সেই সুবিধা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৮ বছর বয়স হলে, এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়সের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। ৬০ বছর বয়সের পর থেকে পাওয়া যাবে পেনশন। এজন্য শ্রমিককে ৬৯ বছর বয়স পর্যন্ত টাকা জমাতে হবে। ১৮ বছর বয়সীদের মাসিক ৫৫ টাকা করে জমাতে হবে। ২৯ বছর বয়সীদের মাসিক ১০০ টাকা করে পেনশন অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে। আর, কারও বয়স ৪০ বছর হলে, মাসে মাসে জমাতে হবে ২০০ টাকা করে। তাহলেই ৬০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতিমাসে মিলবে ৩,০০০টাকার নিশ্চিত পেনশন।