বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই মর্মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন মহানাগরিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চেয়েছেন বলে খবর৷
চিঠিতে শোভন জানিয়েছেন, ‘বিজেপিতে যোগদান দেওয়ায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। কলকাতায় ফিরলে তাঁর ওপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হোক।’ উল্লেখ্য, মন্ত্রী হিসাবে রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা পেতেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তাঁর নিরাপত্তা শিথিল হয়।
এদিকে, বিজেপি সূত্রের খবর, অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েই নেতাদের নিরাপত্তার খরচে কাটছাঁট করার ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে মায়বতী এবং অখিলেশ যাদবের নিরাপত্তা কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকার বেছে-বেছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের নিরাপত্তাজনিত খরচে লাগাম টানছে, এই অভিযোগ যাতে কেউ তুলতে না পারে তার জন্য বিভিন্ন রাজ্যে নিজের দলের নেতাদেরও নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছেন অমিত।
পশ্চিমবঙ্গে গেরুযা শিবিরের দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়, ভারতী ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিং, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়রা কেন্দ্রীয নিরাপত্তা পান। লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শঙ্কুদেব পাণ্ডা, অনুপম হাজরারাও এখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন।
সূত্রের খবর, বাংলা থেকে দিলীপ, মুকুল এবং অর্জুন ছাড়া আর কাউকে সরকারি নিরাপত্তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আপাতত দেখছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা থেকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বর কাছে তাঁদের মতামত জানতেও চাওয়া হয়েছিল এই বিষয়। তাঁরাও গোয়েন্দাদের এই তিনটি নামের কথাই বলেছেন। রাহুল সিনহা দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক হলেও তাঁর নিরাপত্তাও কমানো হতে পারে বলে বিজেপির অন্দরের খবর। কেননা, বিজেপির অধিকাংশ কেন্দ্রীয় সম্পাদককেই নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় না। তবে নিরাপত্তা দেওযার তালিকায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট নেতার নাম থাকবে বলেই মনে করছে ওযাকিবহাল মহল।