নন্দীগ্রামে শুভেন্দু জিতবেই, পূর্ব মেদিনীপুরে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল: শিশির

জল্পনা সত্যি করে বিজেপি-তে যোগ দিলেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় অমিত শাহের সভায় পদ্মফুলের ঝাণ্ডা হাতে তুলে নেন তিনি। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর শিশির বলেন,‘‘ নন্দীগ্রামে শুভেন্দু জিতবেই। পূর্ব মেদিনীপুরে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল।’’

কয়েকদিন আগেই ছেলে শুভেন্দুর উপর আক্রমণ প্রতিহত করার বার্তা দিয়ে মুখ খুলেছিলেন শিশির অধিকারী। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছিলেন বিজেপি মাঠে আছে, এগিয়ে আছে। তাঁর ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর উপর রাজনৈতিক আক্রমণ হলে প্রতিহত করবেন। এদিন শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘এটা আমার আত্মসম্মানের লড়াই, চিরকাল লড়াই করেছি, আগামী দিনেও লড়ব। এটা মেদিনীপুরের সম্মানরক্ষার লড়াই।’’

শনিবারই শিশির-পুত্র তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বাবার যোগদানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন৷ বলেছিলেন, ‘রবিবার এগরায় অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগদান করবেন শিশিরবাবু। আমি হেলিপ্যাডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে স্বাগত জানাবো। তবে আমি বিজেপিতে যোগদান করছি না। তবে ভবিষ্যতে যে তেমন সিদ্ধান্ত নেব না তা বলতে পারছি না’।

বিজেপির তরফে ২৪ মার্চ কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে শিশিরবাবুকে যোগদান করানোর পরিকল্পনা হয়েছিল। সেই মতো তাঁর সঙ্গে দেখা করে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শান্তিকুঞ্জে শিশির অধিকারীর বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, জেলায় যারা রাজনীতি করেন তাঁদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ হলেন শিশির অধিকারী। ওনার কাছ থেকে আশীর্বাদ নিতে ও রাজনৈতিক পরামর্শ নিতে তিনিই শান্তিকুঞ্জে গিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে লকেটের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ছিল, “বাবা ছেলের পাশে থাকবে,ছেলে বাবার পাশে থাকবেই৷” কিন্তু ভোটপ্রচার অনেকটা গড়িয়ে যাওয়ায় আর সময় দিতে চাননি শুভেন্দু। ফলে রবিবারই বিজেপিতে যোগদান করছেন কাঁথির সাংসদ। সূত্রের খবর, ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন দিব্যেন্দু।

প্রসঙ্গত, রাজনীতিতে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ডিসেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সময়ের বিশ্বস্ত সৈনিক তথা তৃণমূলের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। গত বছর মেদিনীপুর কলেজের মাঠে এক বিশাল জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। তখনই নিজের বাড়িতেও পদ্ম ফুল ফোটানোর কথাও ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.