কাটমানি ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বীরভূমের লোকসভার সাংসদ শতাব্দী রায়৷ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের বাইরে সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে শতাব্দী বলেন, “লোকে ফেরত চাইবে যার হাতে টাকা দিয়েছে তার থেকে। কিন্তু কাটমানির ভাগ অনেকের কাছেই যায়। তাদের ফেরত দিতে হবে না।” স্বাভাবিকভাবেই শতাব্দীর মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
গত মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে কলকাতায় রাজ্যের সব পুরসভার কাউন্সলিরদের ডেকে বৈঠক করেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেন, কেউ কেউ সমব্যথীর ২০০০ টাকা থেকেও ২০০ টাকা কমিশন নেয়। কন্যাশ্রী থেকে স্বাস্থ্যসাথী সব প্রকল্প থেকেই দলের জনপ্রতিনিধিরা কাটমানি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূলনেত্রী। কেউ কাটমানি নিয়ে থাকলে তা ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুবরাজপুরের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সদস্যের বাড়িতে কাটমানির টাকা ফেরৎ চাইতে পৌঁছে যান এলাকার মানুষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যপক গোলাগুলি-বোমাবাজি চলে৷ঘটনায় জখম হয়েছেন পাঁচ জন৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শতাব্দী।
এবার শতাব্দীর মন্তব্য নতুন বিতর্ক তৈরি করল। শতাব্দী বুঝিয়েছেন, শুধু নীচু স্তরের প্রতিনিধিরাই টাকা নেন তা নয়, অনেকেই ভাগ পান সেই টাকার। কারা ভাগ পান তা স্পষ্ট না করলেও শতাব্দী যা বলেছেন তাতে এটাই স্পষ্ট যে তৃণমূল কংগ্রেসে কাটমানির চেন সিস্টেম চলে। তিনি বলেন “যারা এক-দু পার্সেন্ট কাটমানি নিয়েছে তাদের ধরা হলেও কাটমানি কালচার বন্ধ করা যাবে না। কারণ, তখন দেখা যাবে যারা কাটমানির বেশিটা পায় তারা এক-দু পার্সেন্ট বেশি নেবে।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের মন্তব্য বিরোধীদের নতুন অস্ত্র হতে চলেছে৷