খাই খাই কর কেন, এস বস আহারে-
খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে ।
যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে,
জড় করে আনি সব, -থাক সেই আশাতে ।
ডাল ভাত তরকারি ফলমূল শস্য,
আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য,
রুটি লুচি, ভাজাভুজি, টক ঝাল মিষ্টি,
ময়রা ও পাচকের যত কিছু সৃষ্টি,
আর যাহা খায় লোকে স্বদেশে ও বিদেশে-
খুঁজে পেতে আনি খেতে- নয় বড় সিধে সে !
জল খায়, দুধ খায়, খায় যত পানীয়,
জ্যাঠাছেলে বিড়ি খায়, কান ধরে টানিও ।

হ্যাঁ দাদা দিদিরা কান ধরে টানুন । আমাকে নয় । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব বখাটে এসএফআই খোকাদের। কমিউনিজম ও ভাত চাওয়া চাই আন্দোলন করতে করতে নিজেরাই কখন ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে ধরতেই পারবেন না। মনে হয় এই কারনেই কমিউনিস্ট শাসিত রাষ্ট্রগুলিতে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে আজকাল….

মানে খাবার দরিদ্রের খাদ্য খেয়ে দাম হজম করা যায় এটা ৩৪ বছরের বাম আমল ভালোই শিখিয়েছিল। তার প্রোয়গ এখনো যাদবপুরে হয়। সেখানে এক মোহচ্চবের থুড়ি ভেঙে দেবার আন্দোলনের খানাপিনার মেনু ছিল ফ্রায়েড রাইস , চিলি চিকেন, পকোড়া। ইয়ে , হ্যাঁ ভাত চাই আন্দোলনের ভাত নাই তাই ফ্রায়েড রাইস। মানে ভাত পায় না তো কি ফ্রায়েড রাইস খাক….যাক, ইয়ে নিরীহ মুরগিও ছিল। কারা যেন বলি বন্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় পুজো এলেই? ওহ ইয়ে , অবাঙ্গালী পকোড়াও ছিল।

যাক গে, তো বিল হয়েছিল ৬৬ হাজার টাকা। কিন্তু ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবীকে গদ্যময় করে ও চাঁদকে ঝলসানো রুটি ভেবে বেচারা দোকানদারকে ১৭ হাজার দিয়ে বাকি ৪৯ হাজার ক্ষুদার রাজ্যে গাপ করে দিয়েছে। শুনছি নাকি এখন সেখানে গৃহযুদ্ধ হচ্ছে।

দরিদ্র দোকানদার সমস্ত পুঁজি লাগিয়ে বেচারা লাগিয়ে চীনের চেয়ারম্যানের ফলোয়ারদের খাবার ব্যবস্থা করেন। সেই খাবারের দামের ৭৫% না পাওয়াতে সর্বহারা বিপ্লব দ্বারা তিনি নিজেই এখন সর্বহারা।

প্রায় মাস কেটে গেছে দরিদ্র দোকানদার ঝাঁপ বন্ধ করেছে। তো সর্বহারা ছাত্রনেতার ক্ষমতা যুক্ত কন্ঠ বলেছে যে , দোকানি নাকি কম ও পচা খাবার দিয়েছিল। আবার সর্বহারা আর একদল দোকানির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে কৌট ও বাক্স নাড়ানো থুড়ি কৌট নিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে নেমে পড়েছে।

দোকানি কালিংপঙ নিবাসী। তার নাম হিসের ভুটিয়া। তার ছোট দোকানের নিকট এই অর্ডার অনেক বড় ছিল। বেশ ভালো আয় হবে এই ভেবে সে সব পুঁজি লাগিয়েছিল। খাবার ডেলিভারির পর ইউনিয়নের সর্বহারা দাদা দিদি রা ফোন বন্ধ করে দেয়।

যেহেতু দোকানের সব কাগজ নেই তাই হিসের পুলিশের কাছে যায় নি।

মুখে সর্বহারা বুলি আওড়ে এ কেমন আন্দোলন করে এরা কে জানে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.