পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে ও যুব তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সী খুনের ঘটনায় দলেরই ৭ জনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলেন আউসগ্রামের অবজার্ভার অনুব্রত মণ্ডল।
গত ৭ সেপ্টেম্বর আউসগ্রামের এক জঙ্গল ঘেরা জায়গায় বাইক থামিয়ে দেবশালা পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে চলেছিল গুলি। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সেই গুলি লাগে প্রধানের ছেলের শরীরে। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের দেবশালা গ্রামে। ওই হামলায় খুন হন দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলে তথা আউসগ্রাম এর প্রাক্তন যুব সভাপতি চঞ্চল বক্সী।
নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে চঞ্চল বক্সীর নিজের বাড়িতে উপস্থিত হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন,“যারা ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের শাস্তি হবে সে যে দলই করুক।”
দেবশালা অঞ্চলে সক্রিয় তৃণমূল নেতা নামে পরিচিত আসানুল মন্ডল, কাদের মন্ডল, হাসিবুল মোল্লা, বিশ্বরূপ মন্ডল, হিমাংশু মন্ডল, মনির হোসেন মোল্লা, ও আয়ুব খান এরা ওই অঞ্চলে তৃণমূলের দাপুটে নেতা নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু চঞ্চল বক্সি খুনের ঘটনায় এদের মধ্যে কয়েকজনকে পুলিস গ্রেফতার করে। এবার তৃণমূল থেকে তাদের বহিষ্কৃত করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
রবিবার বোলপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে একটি বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানেই ওই ঘোষণা করেন অনুব্রত। অনুব্রতবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আউশগ্রামে দেবশালায় নতুন অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণাও করনে অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সি যিনি পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন তাকে অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। আউশ গ্রামে এড়ূয়ার অঞ্চলে সহ সভাপতি হিসেবে রঞ্জিত মন্ডল এর নাম ঘোষণা করা হয়।