জয় শ্রী রাম ধ্বনি নিয়ে লোকসবা ভোট থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ফেণি ঝড়ের সাথে মোকাবিলা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী যখন খড়গপুর থেকে চন্দ্রকোনা রোডের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন একদল যুবক ওনার কনভয় দেখে ‘জয় শ্রী রাম” ধ্বনি দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তখনই গাড়ি থেকে নেমে ওই যুবকদের তাড়া করেছিলেন। এমনকি জয় শ্রী রাম বলার অপরাধে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর ভাটপাড়ার সফরের দিনেও ওনার কনভয় দেখে একদল মানুষ জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়েছিল, তখনও মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এবং এরপরের দিনে ভাটপাড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে জয় শ্রী রাম বলার অপরাধে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
এছাড়াও জয় শ্রী রাম বলার অপরাধে এরাজ্যে এখনো পর্যন্ত ১০ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মীকে খুন হতে হয়েছে তৃণমূলের কাছে। গোটা তৃণমূল দল এবং তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কাছে জয় শ্রী রাম ধ্বনি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই জন্যই বিজেপির তরফ থেকে ১০ লক্ষ পোস্ট কার্ডে জয় শ্রী রাম লিখে মমতা ব্যানার্জীর ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল।
তবে এবার কোন রাজনৈতিক দল নয়, এবার স্কুলের পড়ুয়ারা জয় শ্রী রাম বলে মার খেলো দুষ্কৃতীদের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাখরাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বাখরাহাট উচ্চ বিদ্যালয়য়ে বুধবার সকালে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি বলা নিয়ে গরম হয়ে ওঠে এলাকা।
অভিযোগ অনুযায়ী, স্কুল চলাকালীন স্কুলের ভিতরে কয়েকজন পড়ুয়া জয় শ্রী রাম বলে ওঠে। আর সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়া কিছু দুষ্কৃতীরা স্কুলে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর আক্রমণ করে। বেধড়ক মারধর করা হয় ক্ষুদে পড়ুয়াদের। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বহিরাগতদের অত্যাচার দেখে লাঠি চালায় পুলিশ। ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বিষ্ণুপুরে।