উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এবং বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। অশোকনগরে বিজেপি নেতা কর্মীদের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তাঁরা। শুক্রবার দুপুরে তারা অশোক নগর থানার অন্তর্গত শ্রী কৃষ্ণপুর গ্রামে যান । সেখানে দেখা করেন তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ।
সেখানে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু আরও একবার পুলিশ প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “স্থানীয় পুলিশ, তৃনমুল মাফিয়াদের সঙ্গে মিশে গিয়ে যৌথ সন্ত্রাস চালাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের গিলাপোল এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়, ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন ছ’জন বিজেপি কর্মী সমর্থক। আজ শুক্রবার বিকেলে এই এলাকায় এসে আহত সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতী ঘোষ এবং সায়ন্তন বসু। ভারতী ঘোষ সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, কি ভাবে ভাটপাড়ার এত কাছে বিপুল পরিমাণ বোমা গুলি মজুত হচ্ছে তা তারা কেন্দ্রকে জানাব।
প্রয়োজনে এনআইএ’কে দিয়ে তদন্ত হবে বলেও হুশীয়ারি দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন এই পুলিশ সুপার। তার সঙ্গে এদিন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানান, এবার তারা মানুষ কে বলবে দিদির ফোনে ফোন করে বোমা গুলির কথাও জানাতে। এত বোমা গুলি আসছে কোথা থেকে? প্রশ্ন তোলেন সায়ন্তন বসু।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগণা। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে অশোকনগর, ভাটপাড়া সহ একাধিক জায়গাতেও। বোমা-গুলির আওয়াজে কার্যত ঘুম ভাঙে সেখানকার মানুষের। রাজনৈতিক হানাহানির মধ্যে পড়ে ভাটপাড়া, উত্তর ২৪ পরগণাতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই শান্ত করা যাচ্ছে না এলাকা। একই সঙ্গে চলছে দোষারোপের পালা। তৃণমূল বলছে এই পিছনে বিজেপি দায়ী তো অপর পক্ষের দাবি পিছনে রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাও। এই অবস্থায় রাজনৈতিক হানাহানিতে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে এলাকা।