মমতা নয়, বিরোধী জোটের নেতৃত্বে রাহুল গাঁন্ধীকেই চায় সোনিয়া গান্ধীর অনুগত শিবসেনা।

সামনার পর এবার উদ্ধব ঠাকরেদের দিক থেকে দ্বিতীয় ধাক্কা তৃণমূলকে। যে সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করে এসেছিলেন, সেই রাউতই এবার দেখা করলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। শুধু তাই নয়, সংযুক্ত বিরোধী ঐক্য তৈরির জন্য রাহুলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বলেন সঞ্জয় রাউত। একইসঙ্গে এও স্পষ্ট করে দিলেন যে, দলীয় মুখপত্র সামনার সম্পাদকীয় অবস্থান থেকে তাঁরা এক চুলও নড়ছেন না।

কিছুদিন আগেই মুম্বই গিয়ে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে বিরোধীদের এক সমান্তরাল বোঝাপড়ার ডাক দিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউপিএকেও অস্বীকার করেছেন তিনি। কিন্তু এই পথে মমতা কতজন বন্ধু পাবেন, তা নিয়ে একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শিবসেনার তরফে আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছিল তাদের দলীয় মুখপত্র সামনায়। আজ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক শেষে রাউত আরও একবার শিবসেনার অবস্থান স্পষ্ট করলেন। বললেন, “কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিরোধী জোট সম্ভব না। বিরোধী জোট নিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা হয়েছে। জোট তৈরির জন্য রাহুলকে নেতৃত্ব দিতে বলেছি। সামনাতে প্রকাশিত সম্পাদকীয়র অবস্থানে আমরা অনড়। দেশে তিন চারটে বিরোধী জোটের কোনও মানে হয় না।”

তাঁর বক্তব্য, “বিজেপির বিরুদ্ধে একটাই বিরোধী ফ্রন্ট থাকবে। আর কংগ্রেসকে ছাড়া সেই বিরোধী ফ্রন্ট সম্ভব নয়। দুই-তিন ফ্রন্টের কী লাভ? এতে বিজেপিই লাভবান হবে।”

সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, বর্তমানে মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কে যে ফাটল তৈরি হয়েছে, তাতে কোনওরকম প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা তিনি করছেন কিনা। জবাবে শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, “এ সবের জন্য শরদ পাওয়ার আছেন।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী মুখ হিসাবে তুলে ধরার আকুল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর জন্য অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে নতুন করে সমীকরণ তৈরির চেষ্টা করছেন। তবে শিবসেনার মতো হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও খুব সম্ভবত পৃথকভাবে তাঁর পাশে থাকছে না। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের পাশেই থাকবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তথা দলীয় মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “আমরা এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল সরকার চালাচ্ছি। আমরা গত দুটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছ। 2019 সালের লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে। আমি ২০২৪ সালে এখানেও সেই সমীকরণের পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.