ঘোষিত সংবাদ প্রতিদিন আয়োজিত ‘সরস্বতীর সেরা স্কুল’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল। থিমের অভিনবত্ব, ভাবনার বহিঃপ্রকাশ আর আয়োজনের আন্তরিকতায় এ বছরের প্রতিযোগিতাও হয়ে উঠল ব্যতিক্রমী এবং সর্বাঙ্গসুন্দর। একশোটিরও বেশি স্কুল এবার অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণে ‘সেরার সেরা’-র শিরোপা ছিনিয়ে নিল বিনোদিনী গার্লস হাই স্কুল। এবারের প্রথম স্থানাধিকারী তারাই। যুগ্ম দ্বিতীয় টাকী হাউস গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড গার্লস হাই স্কুল এবং শ্রী ঋতম বিদ্যাপীঠ। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘দ্য পার্ক ইন্স্টিটিউশন’। এছাড়াও সেরা পরিবেশ এবং নান্দনিকতার বিচারে পুরস্কৃত হয়েছে দি স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল এবং বড়িশা গার্লস হাই স্কুল।
‘ছেলের আমার…, আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।’ নচিকেতার সুরে, কথায় এই গান সকলের মরমে ছুঁয়ে যায়। আর ঠিক এই ভাবনাকেই বাগদেবীর আরাধনায় অন্য আঙ্গিকে ফুটিয়ে তুলে এ বছরের সর্বসেরা স্কুলের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে বিনোদিনী গার্লস হাই স্কুল। ২০২০-তে তাদের থিম ‘পথের পাঁচালি ইন রিভার্স’।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে উত্তর কলকাতার টাকী হাউস গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড গার্লস হাই স্কুল। এককথায় তাদের পুজো সর্বাঙ্গ-সুন্দর। যুগ্ম দ্বিতীয় শ্রীঋতম বিদ্যাপীঠ। থিম ভাবনা প্রকৃতি এবং পরিবেশ। মণ্ডপের মধুবনী চিত্রকলা আলাদা করে নজর কেড়ে নিয়েছে বিচারকদের। হাতের সূক্ষ্ম কাজের মাধ্যমে পড়ুয়ারা দেখিয়েছে, কীভাবে নগরায়নের প্রভাবে তিলে তিলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। পাশাপাশি এই বার্তা দিয়েছে যে, ঠিক কীভাবে এ সবের হাত থেকে রক্ষা করা যায় পরিবেশকে।
প্রতিযোগিতায় তৃতীয় সেরা দ্য পার্ক ইন্স্টিটিউশন। এদেরও মূল বিষয় পরিবেশ। গামছা দিয়ে তৈরি হয়েছিল শিল্পকর্ম।
এছাড়াও সেরা পরিবেশের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে দি স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। সাম্প্রতিক বহু আলোচ্য এনআরসির বিরোধিতাকেই থিম হিসাবে তুলে ধরেছে এই স্কুল। দেশের বিভিন্ন ভাষা এবং ধর্মের বৈচিত্র্যর পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে খাদ্যাভ্যাস এমনকী সংস্কৃতির বিভিন্নতাও। যিশুপুজার সঙ্গেই হয়েছে বাণীবন্দনা।
ব্রাজিল এবং অস্ট্রেলিয়াতে ভয়াবহ দাবানলের গ্রাসে বনভূমির ক্ষয়ক্ষতিকে মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরে সেরা নান্দনিকতার জন্য পুরস্কৃত হয়েছে বড়িশা গার্লস হাই স্কুল।