দলের কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। গত শুক্রবার মামলা করেন বিধাননগরের মেয়র। আদালতে অনাস্থা নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে তা খারিজের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আজ সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টে।
গত শুক্রবার সকালে মামলার অনুমতি চেয়ে সব্যসাচীর আইনজীবী আবেদন করেছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে। বিচারপতি অনুমতি দেওয়ায় ওই দিনই মামলা দায়ের হয়। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হলে আদালত কি রায় দেয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।
প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুরসভায় গত কয়েকমাস ধরে অচলবস্তা চলছে। আগামী ১৮ তারিখ মেয়র সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তৃণমূল কাউন্সিলররা। ক্রমশ জট পাকাচ্ছে। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগেই মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সব্যসাচী দত্ত। সেখানেই অচলবস্তা কাটাতে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। আর এরপরেই কীভাবে অনাস্থার মোকাবিলা করা যায় সেই রণকৌশল সাজাতে শুক্রবার সকালেই হাইকোর্টে যান সব্যসাচী। সেখানে আইনজীবীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়।
কীভাবে অবস্থার মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়েই মূলত আলোচনা হয়। আর এরপরেই বিকেলে তৃণমূল কাউন্সিলরদের তরফে আনা অনাস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করলেন মেয়র। আদালত সূত্রে খবর, আইনজীবী মারফৎ সব্যসাচী প্রথমেই অনাস্থায় স্তগিতাদেশ চাইবেন। এরপর পুর-আইনে যেভাবে বলা রয়েছে সেভাবেই এগোবেন।
উল্লেখ্য, বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত তাঁর বিরুদ্ধে যে অনাস্থা আনা হয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন। ফলে মামলার শুনানিতে আদালত শেষমেশ কি জানায় সেদিকেই তাকিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, মামলার গতি-প্রকৃতি দেখেই আগামীদিনে শাসকদলের কাউন্সিলররা তো বটেই, এমনকি সব্যসাচী দত্ত তাঁর রণকৌশল ঠিক করবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিকমহলের একাংশ।