কে প্রশান্ত কিশোর না কিশোর কুমার, উনি পঞ্চায়েতে লড়েছেন? প্রশ্ন সব্যসাচীর

বিস্ফোরণ ঘটিয়েই চলেছেন বিধাননগরের মেয়র তথা রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এ বার প্রশান্ত কিশোরকে টেনে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে খোঁচা দিলেন তিনি। প্রশান্ত কিশোরের যোগ্যতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে দিলেন হাটের মাঝে। প্রশ্ন তুমলেন, উনি কি কখনও পঞ্চায়েতে প্রতিদন্দ্বিতা করেছেন?

প্রশান্ত কিশোর একজন পেশাদার ভোট কৌশলী। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর তৃণমূল তাঁর পরামর্শ নিচ্ছে। ১৪-র ভোটে মোদী ঝড়ের কাণ্ডারী ছিলেন প্রশান্ত। ইতিমধ্যে একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিকে। কখনও নবান্নে, কখনও তৃণমূল ভবনে।

রবিবার রাতেই সল্টলেক সুইমিং ক্লাবে মুকুল রায় চলে গিয়েছিলেন সব্যসাচীর সঙ্গে দেখা করতে। তারপর থেকেই বিধাননগর বিড়ম্বনা আরও বেড়ে গিয়েছে শাসক দলের। ববি হাকিম বলেছেন, “ও তৃণমূল ছেড়ে দিক।” সোমবার সাংবাদিকরা সব্যসাচীকে বলেন, অনেকে বলছেন মুকুল রায় অর্থের বিনিময়ে আপনাকে পরামর্শ দিতে এসেছিল। এরপরই পিকে-কে টানেন বিধাননগরের মেয়র। বলেন, “কাকে নিয়ে এসেছে পরামর্শ নেওয়ার জন্য! কি প্রশান্ত কিশোর না কিশোর কুমার! তিনি তো নিশ্চয়ই বিনে পয়সায় পরামর্শ দিচ্ছেন না। কেউ বলছে ৪০০ কোটি টাকা নিচ্ছেন। কেউ বলছে ৫০০ কোটি। এই টাকা তো আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিচ্ছে না। দল দিচ্ছে। তাঁর মানে দলের কাছে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা আছে!”

এরপর সব্যসাচী বলেন, “আমিও তো দলের কর্মী। যাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নেব, তিনি আগে পঞ্চায়েত ভোট করেছেন কি না তাই জানি না!”

তবে তৃণমূল যে ভাবে তাঁকে ছেড়ে দিতে বলছে, সে ভাবে যে তিনি দল ছাড়বেন না তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন সব্যসাচী। বললেন, “আমায় তো কেউ কিছু বলছে না। আমায় তো লিখিত দিতে হবে!” তবে সব্যসাচীর বাক্যবাণ, আক্রমণের লক্ষ্য দেখে অনেকেই বলছেন, বিধাননগরের মেয়রের এখন একটাই উদ্দেশ্য, তৃণমূলের বিড়ম্বনা, উদ্বেগ, অস্বস্তি ক্রমাগত বাড়িয়ে চলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.