সপ্তাহের ছুটিতে কোথাও যাওয়ার কথা ভাবছেন? কোথায় যাবেন, কীভাবে যাবেন, থাকার জায়গা আছে কিনা, কী কী দেখবেন এসবও নিশ্চয়ই ভাবতে হচ্ছে। এবার থেকে সেই দায়িত্ব আমাদের। যাঁরা বেড়াতে ভালবাসেন, যাঁরা দেখতে চান বাংলার মুখ তাঁদের কথা মনে রেখেই শুরু হল নতুন এই ধারাবাহিক ‘পায়ে পায়ে বাংলা ‘। এ হল বেরিয়ে পড়ার ভ্রমণ গাইড। এ এমন এক সোনারকাঠি যার ছোঁয়ায় জেগে উঠবে রোজকার হাঁফিয়ে ওঠা জীবন, ফুসফুসে ভরে নেওয়া যাবে তাজা হাওয়া, মন মেতে উঠবে আনন্দে। তাহলে আর দেরি নয়। খুঁজে নিন আপনার পছন্দের জায়গা, গুছিয়ে ফেলুন ব্যাগ, হুশ করে বেরিয়ে পড়ুন সপ্তাহের শেষে। আপনার সঙ্গে রয়েছে ‘পায়ে পায়ে বাংলা’।
জেট গতির এই যুগে মানুষ সকালে মুম্বইতে, তো রাতে আমেরিকায়। এই রকম দুর্দান্ত ব্যস্তসমস্ত ঝাঁ চকচকে ঘোড়ায় জিন লাগানো জীবনের ফুরসত কোথায় নিতান্ত সাদামাটা জীবনের গল্প শোনার? যে গল্পে নেই কোনও রক্তে দোলা লাগানো উত্তেজনা।
অনেক সংশয়, অনেক দ্বিধা, তবুও অলক্ষ্যে থেকে যিনি বারবার সাহস যুগিয়েছেন সেই মানুষটার ভ্রমণ বৃত্তান্ত থেকে কয়েকটা কথা ধার করে বলি, ‘ভ্রমণ বৃত্তান্তের একটি মস্ত সুবিধা এই যে তার মধ্যে অবিরাম গতি আছে অথচ প্লটের বন্ধন নেই – মনের একটি অবারিত স্বাধীনতা পাওয়া যায়। এখানকার জনহীন মাঠের মাঝখান দিয়ে একটি রাঙা রাস্তা চলে গেছে। সেই রাস্তা দিয়ে যখন দুই-চারজন লোক কিম্বা দু’টো একটা গরুর গাড়ি মন্থর গতিতে চলতে থাকে, তার বড় একটা টান আছে
– মাঠ তাতে আরও যেন ধূ ধূ করে ওঠে, মনে হয় এই মানুষগুলো যে কোথায় যাচ্ছে তার যেন কোনও ঠিকানা নেই। ভ্রমণ বৃত্তান্তের বইও আমার এই মানসিক নিরালার মধ্যে সেই রকম একটি গতি প্রবাহের ক্ষীণ রেখা অঙ্কিত করে দিয়ে চলে যেতে থাকে; তাতে করে আমার মনের সুবিস্তীর্ণ নিস্তব্ধ নির্জন, আকাশটি আরও যেন বেশি করে অনুভব করতে পারি।’
বিশ্বকবির লেখাটি প্রেরণা জোগাল সরল মেঠো বৃত্তান্তের আবর্তে ফিরে যেতে।
মাঠ শব্দটি উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনের ভেতর ভেসে ওঠে মাইলের পর মাইল চরাচর জুড়ে ঘন ঠাসবুনোটের সবুজ ধানক্ষেত অথবা ফসল তোলার পর খাঁ খাঁ করা শূন্য রিক্ত মেঠো জমি। হাওড়া-কাটোয়া লোকালের ট্রেনে যেতে যেতে এই দৃশ্য খুব স্বাভাবিক। এত ধান যে জেলার সম্পদ সেই জেলার শিরোপা ধানের গোলা হবে এমনটাও অস্বাভাবিক নয়।
ধান ভাঙতে গিয়ে শিবের গীত একটু বেশিই হয়ে গেল। এ বারের মেঠো বৃত্তান্ত বর্ধমানকে ঘিরে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জেলা বর্ধমানের একটি মহকুমা শহর কাটোয়া। কাটোয়া থেকে চোদ্দ কিলোমিটার দূরে সিঙ্গি গ্রাম। কাটোয়া থেকে বাসে এই গ্রামে পৌঁছনো যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। মহাভারতের বাংলা অনুবাদক, বলা যেতে পারে শ্রেষ্ঠ অনুবাদক, কাশীরাম দাসের জন্মভূমি বলেই বিখ্যাত এই সিঙ্গি গ্রাম।
বাংলা পয়ার ছন্দে রচিত মহাভারতের বহুল প্রচলিত দুটি লাইন হল –
মহাভারতের কথা অমৃত সমান
কাশীরাম দাস কহে শুন পুণ্যবান।
কাশীরাম দাসের জন্মস্থান নিয়ে বহু বিতর্ক আছে। অনেকেই সিঙ্গি না বলে সিদ্ধিবোড়া গ্রামকে প্রাধান্য দিতে চেয়েছেন। তবে কাশীরামের ভাই গদাধর দাস তার ‘জগৎমঙ্গল’ কাব্যে দ্বর্থহীন ভাষায় কাশীরাম দাসের জন্মভূমি হিসেবেই এই সিঙ্গিরই উল্লেখ করেছেন। সিঙ্গির মানুষজন প্রায় ভেঙে পড়া আগাছায় ভরা সাবেকি বাড়ি, যেটাকে বাড়ি না বলে একটি ঘর বলাই ভালো, এমন একটি জায়গাকে দেখিয়ে বলেন, ‘এটাই কবির বাস্তুভিটে।’ তাঁদের বক্তব্য, এখানে নাকি একটা পাতাল ঘর আছে যেখানে কবি মাঝে মাঝেই আত্মগোপন করতেন। আত্মস্থ হতে গেলে নির্জনতার প্রয়োজন তো বটেই। ফলে জনশ্রুতিটুকু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
গেটের মাথায় আটকানো শ্বেত পাথরের ফলকে লেখা আছে –
“মহাভারত”
বাংলা রচয়িতা
মহাকবি কাশীরাম দাস-এর জন্মভিটা (কাশীরাম দাস স্মৃতি রক্ষা কমিটি)
এই স্মৃতি রক্ষা কমিটিই যতটুকু সম্ভব রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন। প্রতি বছর ২১ পৌষ মহাকবির স্মরণে পাঁচদিনের মেলা আয়োজিত হয়।
উঠোনের একপাশে ঘরের লাগোয়া এক চিলতে বারান্দায় অঙ্গনওয়াড়ির ক্লাস চলছে। পাশেই মিড-ডে মিল হিসেবে খিচুড়ির তোড়জোড় চলছে।
এরকম একজন মনীষীর জন্মস্থান প্রত্যেক বাঙালির তীর্থস্থান স্বরূপ দর্শন করা উচিত। কিন্তু বসতবাড়ি না বলে বলা ভালো ঘরটুকুর জীর্ণ দশা মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে।
মনীষীর জন্মভিটে যতই জীর্ণ হোক না কেন, সিঙ্গি কিন্তু বেশ বর্ধিষ্ণু গ্রাম। রাজা আদিসুরের পৌত্র অনাদিসুর প্রায় সাড়ে বারোশ’ বছর আগে এই গ্রামের পত্তন করেছিলেন। তখন নাম ছিল সিংহেশ্বরপুর। অপভ্রংশ হয়ে সিঙ্গিতে এসে দাঁড়িয়েছে। গ্রামটিতে বেশ কিছু প্রাচীন পুরাকীর্তি ও মন্দির রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বুড়োরাজ শিবের মন্দির। নবরত্ন মন্দিরটির সম্প্রতি সংস্কার হওয়াতে বেশ সুন্দর হয়েছে। মন্দিরটির উঁচু চূড়া চোখ টানে। গঙ্গানন্দ শর্মা নামক এক গ্রামবাসী এই মন্দিরটি ১২৩৫ বঙ্গাব্দে নির্মাণ করেন।
জনশ্রুতি যে, বর্তমান দাঁইহাট স্টেশনের কাছে নওয়াপাড়া ও সাহাপুর স্টেশনের মাঝখানে জঙ্গলে ঘেরা সরবেশ দিঘিতে বুড়ো শিব নিমজ্জিত ছিলেন। বিশ্বেশ্বর ভট্টাচার্য নামের এক নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ স্বপ্নে আদেশ পেয়ে বুড়ো শিবকে তুলে এনে পুজো শুরু করেন। বিগ্রহে কোনও গৌরীপট ছিল না। পরে দাঁইহাটের বিখ্যাত ভাস্কর শিবলিঙ্গের গৌরীপট নির্মাণ করে দেন। গৌরীপটটি দেখলেই বোঝা যায় যে এটি পরে লাগানো হয়েছে। মূর্তিটি চৈত্র সংক্রান্তির সাত দিন আগে গ্রামের পশ্চিমদিকে মোড়কতলায় নিয়ে গিয়ে উৎসব হয়। দেবতা সাতদিন ওখানে থাকেন। এখানেও একটি মন্দির রয়েছে বাৎসরিক উৎসবের জন্য। বুড়ো শিবকে ঘিরে চৈত্র গাজন ও শিবরাত্রি উৎসব ধুমধামের করে পালিত হয়। অত প্রবল দাবদাহের মধ্যেও গ্রামের প্রতিটি বাড়ি সরগরম হয়ে ওঠে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধবের সমাগমে। গ্রামে কেবল শিব নয়, আনন্দময়ী নামে এক কালিকা মূর্তি অবস্থান করছেন এক দালান মন্দিরে। এটি তৈরি করেছিলেন রামতনু চট্টোপাধ্যায়। গ্রামের মেয়ে-বউরা এক ভাঙা নারায়ণ মূর্তিকে ষষ্ঠী দেবী হিসেবে পুজো করে থাকেন।
গ্রামে শিব, কালী ও দুর্গাপুজো হলেও গ্রাম্য ও লৌকিক দেবতা হিসেবে গ্রামের পূর্ব দিকে এক বিশাল বটগাছকে ঘিরে বাঁধানো বেদিতে মাঠের ফসলরক্ষক হিসেবে ক্ষেত্রপাল ঠাকুরের বাৎসরিক পুজো করা হয়। এই পুজো হয় আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি অর্থাৎ উল্টোরথের দিন। ক্ষেত্রপাল ঠাকুর হলেন শিবের ঊনকোটি অনুচরদের একজন। মহা ধুমধামের সঙ্গেই এই গ্রাম দেবতার পুজো করা হয়। এই পুজোর সময় সিঙ্গি যেন জেগে ওঠে। পুজো উপলক্ষ্যে তিন-চার দিনের মেলা বসে। পুজোয় পাঁঠা বলি হয় এবং তার সংখ্যা প্রায় হাজার দেড়েক। এই দেবতার সেবাইতরা হলেন সাহা সম্প্রদায়ের। যেহেতু দেবতা অনার্য, তাই পুজোর অধিকার অব্রাহ্মণের। অন্যতম সেবাইত স্বর্গীয় নারায়ণ সাহার এক মর্মর মূর্তি স্থাপিত রয়েছে। ক্ষেত্রপালতলা যাওয়ার পথে রাস্তার দক্ষিণে এক বিশাল এলাকা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে কাশীরাম দাস স্মৃতি পাঠাগার। এই পাঠাগারটির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়।
সিঙ্গি থেকে কাছেই শ্রীবাটী গ্রামটি টোটো করে ঘুরে নেওয়া যায়। গ্রামটি আগে আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধ ছিল। এই সমৃদ্ধির মূলে রয়েছে এক ঘর চন্দ্রবংশীয় বণিকদের অবদান। এই বণিক পরিবার গুজরাত থেকে এসে এই গ্রামে থিতু হয়। এই বংশের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন শোভারাম চন্দ্র। এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে ভক্তি খাঁ রোডের মাধ্যমে শ্রীবাটী-ইন্দ্রাণী-সমুদ্রগড়ের যোগাযোগ ছিল। বর্তমানে কাটোয়া থেকে পাকা রাস্তা হয়েছে।
চন্দ্রবংশীয় বণিকরা ব্যবসা বাণিজ্যে প্রভূত উন্নতি করার ফলে গ্রামে একসঙ্গে তিনটি শিবমন্দির নির্মাণ করান। মন্দির তিনটিতে ভোলানাথ, চন্দ্রেশ্বর ও শঙ্কর অধিষ্ঠিত। মাঝের মন্দিরটি পঞ্চ চূড়ার আর দু’দিকে দুই মন্দিরই রেখ দেউলের আদলে তৈরি। টেরাকোটা সম্বলিত মন্দির তিনটির গঠন শৈলীর অনন্যতা যে কোনও ব্যক্তিকে মুগ্ধ করবে। মন্দিরের গায়ের প্রস্তর ফলক দেখে জানা যায় যে এই তিনটি মন্দির ১২৪৩ সালে রামকানাই চন্দ্রর প্রতিষ্ঠিত।
টেরাকোটার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পৌরাণিক ও সামাজিক জীবনের ছবি। উল্লেখযোগ্য পৌরাণিক দৃশ্যগুলি হল দশাবতার, দশমহাবিদ্যা, মহিষাসুরমর্দিনী ইত্যাদি। তৃতীয় রেখ দেউলে দরজার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্রেঞ্চ উইন্ডো। ফ্রেঞ্চ উইন্ডোর খড়খড়ির ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে একটি নারী মুখ। প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে এরকম অসাধারণ তিনটে মন্দির এক অমূল্য সম্পদ। আর অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে হয় বনপাশ নিবাসী বদন চন্দ্র মিস্ত্রীকে, যাঁর হাতের জাদুতে এরকম অক্ষয় কীর্তি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় মন্দিরগুলি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছিল তিন লক্ষ ৭১ হাজার স্বর্ণমুদ্রা।
দু’পাশে উপচে পড়া থই থই সবুজ ধানের ক্ষেত, পুকুরের সারি, গরুর গাড়ি বোঝাই খড়, মাটির দোতলা বাড়ি, মেঠো পথ এসব ছেড়ে যেতে যদি মন কেমন করে তাহলে সিঙ্গিতে অনায়াসে থাকা যায়। উৎসব ছাড়া যখন তখন এখানে গিয়ে থাকা যায় কারণ বাড়ির স্বাচ্ছন্দ্য আরাম নিয়ে ‘শান্তিনিকেতন’ হোম স্টে দু’হাত বাড়িয়ে পর্যটকদের অভ্যর্থনা করতে প্রস্তুত। এই হোম স্টে যেন মর্তের সীমানায় অমর্তের সন্ধান। তীব্র দাবদাহের মধ্যে মাটির ভাঁড়ে শীতল সুস্বাদু পানীয়, কখনও মাটির থালা বাটি কখনও বা ঝকঝকে কাঁসার থালাবাটিতে খাবার পরিবেশনে বুভুক্ষু উদরই শুধু তৃপ্ত হয় না, অন্তর দেবতাও যেন প্রসন্ন হয়ে ওঠেন। দুপুরের খাওয়ার তালিকার একটু উদাহরণ না দিতে পারলে অধর্ম হবে। যেমন – শুক্তো, ডাল, আলু ভাজা, পেঁয়াজ পোস্ত, চুনো মাছের চচ্চড়ি, ডিমের কারি, চাটনি, এছাড়া ঘরে তৈরি ঘি আর শেষ পাতে টক দই। রাত্রে, অবশ্যই মাংস। এসবের রূপকার সুদর্শন সুদর্শনা সম্রাট ও সুদেষ্ণা। দু’জনের মুখেই সব সময় মিষ্টি হাসি লেগে রয়েছে। সেই হাসি অপরিচয়ের বাঁধন এক লহমার ছিঁড়ে ফেলে কাছে টেনে নেয় হৃদয়ের অনেক গভীরে। সিঙ্গিতে গিয়ে কেউ যদি শান্তিনিকেতন না ঘুরে আসেন তাহলে তিনি একটু মিস করে যাবেন। শান্তিনিকেতন পুকুর বাগান, ছাদ সব নিয়ে এক অনবদ্য হোম স্টে। যে যার পোষ্যদের নিয়েও যেতে পারেন। কোনও বাধা নেই।
সম্রাটকে বললে সিঙ্গির কাছাকাছি সতীপীঠ, ক্ষীরগ্রাম, সাপের গ্রাম ছোট পোষলা, বৈষ্ণবতীর্থ শ্রীখণ্ড ঘুরিয়ে দেবে অনায়াসে। অতএব এবার গ্রাম ভ্রমণে প্রথম নাম হোক সিঙ্গি ও সিঙ্গির শান্তিনিকেতন।
শক্তিপদ ভট্টাচার্য্য : শিক্ষকতার কাজের মাঝে সময় খুঁজে বেরিয়ে পড়েন কাঁধে ঝোলা নিয়ে। ভ্রামণিকদের জন্য গড়ে তুলেছেন ” ভ্রমণ আড্ডা ” নামে একটি সংস্থা। একই নামে প্রকাশ করেন একটি পত্রিকাও। পর্যটকদের কাছে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার হালহদিশ তুলে ধরতে ক্রমান্বয়ে লিখে চলছেন “পায়ে পায়ে জেলা ভ্রমণ গ্রন্থমালা ” যার দশটি খণ্ড ইতিমধ্যেই প্রকাশিত।
রত্না ভট্টাচার্য্য : সহধর্মিণী হিসেবে শক্তিপদ ভট্টাচার্য্যর সমস্ত ভ্রমণের সঙ্গীই শুধু নন। “পায়ে পায়ে জেলা ভ্রমণ গ্রন্থমালা “-র অন্যতম লেখক। “ভ্রমণ আড্ডা ” সংস্থার সহযোগী সম্পাদক।