নির্বাচনের শুরু থেকে জেলায় জেলায় গিয়ে প্রচার করছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসছে তাঁর প্রচারের ছবি।
বুধবারও বাঁকুড়ায় প্রচার সারেন তিনি। বাঁকুড়ার প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকারের সমর্থনে একটি ‘রোড শো’-তে অংশ নেন এদিন। সেই রোড শো-এর পর রূপা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ট্যুইটারে ছবি পোস্ট করে দেখান যে কীভাবে মানুষ গরম উপেক্ষা করে রোড শো দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।
এদিন বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি। সেই রোদে পুড়ে প্রচার করতে দেকা যায় রূপাকে। স্থানীয় মানুষের উদ্দেশে এদিন বক্তৃতাও দেন তিনি। সেইসব ছবি পোস্ট করেছেন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে। সেকানে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষ মাথায় কাপড় ঢেকে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার পাশে।
আর সেই ছবিতেই উৎসাহ পাচ্ছেন বিজেপি নেত্রী। তিনি লিখেছেন, ”পরিবর্তনের ইঙ্গিত বোধহয় একেই বলে! ৪১ ডিগ্রি প্রখর তাপেও খাতরাবাসীর আবেগ-ভালবাসায় আমরা আপ্লুত।”
এদিন খাতড়ায় গিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের প্রতিরোধে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন’। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও বলেন, বিজেপি বিপুল হারে জিতছে। এখনও পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে তা ছাপ্পা দিয়েও শাসক দল সুবিধা করতে পারেনি বলে দাবি করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি ভাঙচুর প্রসঙ্গে বলেন, এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের ‘জঘন্য চিত্র’ প্রকাশ করছে। এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে সাধারণ মানুষকে ‘ভয় দেখানো’র চেষ্টা হচ্ছে বলেও তার দাবী। রাজ্যে গণতন্ত্রের হত্যার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী দায়ী দাবী করে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ আরও বলেন, উনি নিজে পুলিশ আর স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী। তারপরেও উনি কি করে বলেন, ‘সিআরপিএফ ভোটের পর চলে যাবে’। এই ধরণের মন্তব্য সরাসরি হুমকি দেওয়ার সামিল বলেই তাঁর দাবি।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা নীল সাদা রঙ করা আর কলকাতার সামান্য অংশের সৌন্দর্যায়নের কাজ ছাড়া এই রাজ্যে কোন কাজ হয়নি দাবী করেন রূপা। তিনি বলেন, এখনও কিলোমিটার পর কিলোমিটার জল নেই। কেন্দ্রের আদিবাসী উন্ন্ইনের বরাদ্দ টাকা নিয়ে প্রশাসনের কোন স্তরে কোন কথা নেই। অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওনাকে কি করতে এখানে পাঠানো হয়েছে জানি না। অকথা কুকথা বলা আর মারামারি করতে হয়তো পাঠানো হয়েছে বলে তাঁর দাবি।