২০১৪ সালে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২ টি লোকসভা আসনে জয়লাভ করেছিল। ২০১৯ সালে সেই আসন বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ টিতে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি শক্তিশালী হওয়ার পেছনে কারণ কি? এর উত্তর হিন্দু একতা। তৃণমূল হিন্দুদের সাথে অন্যায় করে শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের তোষণ করেছে। মূলত এই কারণের ভিত্তিতে হিন্দুরা এক হয়ে বিজেপি কে ভোট দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আসার প্রধান ও প্রধান কারণ হিন্দু একতা। কিন্তু মনিরুল ইসলামকে বিজেপিতে ঢুকিয়ে বঙ্গবিজেপি হিন্দুদের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেছিল।
বিজেপির একটা গুন সর্বদা রয়েছে তা হলো- আগে দেশ পরে পার্টি, আগে হিন্দুত্ব পরে পার্টি, আগে জনগণের বিশ্বাস পরে পার্টি। রাজনীতি কম এবং জনগণের বিশ্বাসকে বেশি গুরুত্ব দেয় বিজেপি। কিন্তু তথাকথিত হিন্দু বিরোধী মনিরুলকে ঢুকিয়ে অনেকের মনে ক্ষোপ সৃষ্টি করেছিল রাজ্যবিজেপি। ভোটে জেতার লোভে, ক্ষমতার লোভে মনিরুলকে পার্টিতে ঢুকিয়ে নিয়েছিল। যারপর সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে হিন্দুত্ববাদী ও রাষ্ট্রবাদীরা।
এখন সূত্র থেকে একটা খবর সামনে আসছে যা হিন্দুত্ববাদী ও রাষ্ট্রবাদীদের মনকে শান্ত করবে। খবর এই যে, মনিরুলকে পার্টিতে সক্রিয় থাকবে না। অর্থাৎ মনিরুলকে পার্টি ডিএক্টিভ করে দেবে। RSS এর স্পষ্ট কথা যে মনিরুলকে পার্টিতে নেওয়া ভুল হয়েছে কিন্তু এখন দল থেকে বহিষ্কার করলে সেটাও হাস্যকর দেখাবে। তাই মনিরুলকে পার্টি থেকে ডিএক্টিভ করে দেওয়া হবে। বিজেপি ও তৃণমূলের যে পার্থক্য রয়েছে সেটাকে বজায় রাখতে হবে এবং দলের বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে হবে বলে মত আরএসএস এর।
মনিরুলকে বিজেপি নেওয়ার পর অনেকে TMC ও বিজেপিকে এক গোয়ালের গরু বলেও মন্তব্য করেছিল। রাজনীতি জন্য এবং ক্ষমতার লোভে বিজেপিও হিন্দু বিরোধী কাজ করতে পার, এমন অভিযোগও তোলা হয়েছিল। তাই আরএসএস এর মত অনুযায়ী মনিরুলকে পার্টিতে নিষ্ক্রিয় করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।