বনগাঁ (Banga) মহকুমায় করোনা ভাইরাস (Corona virus) এর ছড়িয়ে পড়তেই মানুষ আর প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছে না. এদিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হওয়ায় হটাৎ বৃষ্টিতে চাষীদের মাঠে কাঁটা ধান জলে ভাসতে থাকে. ভাগচাষীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে. এই পরিস্থিতিতে দিন মজুর মিল করা যাচ্ছিলো না. সংখ্যালঘু ভাগ চাষী আলম মণ্ডল (Alam Mandal) এর পাশে দাঁড়িয়ে স্বয়ং সেবক রা তাকে সাহায্য করেন. জলের মধ্যে থেকে ধান তুলে দেন RSS এর স্বয়ং সেবকরা.
এছাড়া আরো দুই জন ভাগচাষীর ধান জল থেকে তুলে দেন এবং ধান শুকিয়ে গেলে বেঁধেও দেয় স্বয়ং সেবকরা. বনগাঁ মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকরি স্বয়ং সেবকরা চুপিসারে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে. বনগাঁ গ্রামীণ খন্ডের স্বয়ং সেবক বৃন্দ 1)বিশ্বজিৎ গাইন 2)গোবিন্দ বিশ্বাস 3) ভবতোষ বিশ্বাস 4)প্রশান্ত মন্ডল 5) অর্জুন বিশ্বাস 6)প্রবীর সরকার এরা সকলে চুপি সাড়ে বিগত কয়েক দিন ধরে মাঠে চাষী দের সাথে হাত মিলিয়ে ফসল ঘরে তুলতে সাহায্য করছে.
বনগাঁ গ্রামীণ খন্ডের কার্যবাহ বিশ্বজিৎ গাইন জানান, আমার খন্ডের মধ্যে কিছু ভাগচাষী মজুরের অভাবে ধান কেটে বাড়ী নিতে পারছিলো না. তারপর বৃষ্টি এসে চাষীদের আরো ক্ষতি করে দেয়. স্বয়ং সেবক গোবিন্দ বিশ্বাস এর কাছে কিছু চাষী সাহায্য এর বাড়িয়ে দিতে বলেন. গোবিন্দ বিশ্বাস এর নেতৃত্বে আমরা স্বয়ং সেবক রা চাষীদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি মাত্র. আমাদের ডাকলেই আমরা চাষীদের পাশে দাঁড়িয়ে পড়বো. বিজেপি নেতা গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন -আমার কাছে কিছু চাষী এসে বলেন দিনমজুর পাওয়া যাচ্ছে না. তাছাড়া তাদের কাছে নগদ টাকাও নেই. কি করে মজুর নেবে. তারপর উপরি বৃষ্টি এসে ভাগচাষীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিলো. তাই আমি কিছু স্বয়ং সেবক কে ডেকে এনে চাষীদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করি. তাছাড়া আমি আগে একজন স্বয়ং সেবক পরে বিজেপি. মানুষের পাশে দাঁড়ানো টা আসল ব্যাপার. যে সমস্ত স্বয়ং সেবকরা আজকে চাষীদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছে তাঁদের কে ধন্যবাদ. যদিও ধন্যবাদ দেওয়ার কোনো জায়গা নেই. স্বয়ং সেবকদের কাজটাই এইরকম হয়.
2020-05-08