ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট পূর্ব রেল (Eastern Railways)। কাজের অগ্রগতি জানতে মেট্রো ও পূর্ব রেলের আধিকারিকরা যৌথভাবে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের কাজ খতিয়ে দেখেন। তারপর হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা মেট্রোর কাজের প্রেক্ষিতে পূর্ব রেলের প্রভূত ক্ষতির ফিরিস্তি দেন। পাশাপাশি মাটির উপরের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করার নির্দেশও দেন। এজন্য রীতিমতো দিনক্ষণ ঠিক করে দিয়েছেন তিনি।
ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা বলেন, “দু ‘বছরের বেশি সময় ধরে কাজ হবে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে মাটির উপরের কাজ শেষ করে এলাকা ফাঁকা করে দিতে বলা হয়েছে। উপরের কাজে বিলম্ব হলে চলবে না। কারন, কাজের জন্য ধুলো, ময়লার জন্য কেন কষ্ট সহ্য করবেন যাত্রীরা। এলাকা ছ’মাসের মধ্যে যেমন সাফ করে দিতে হবে, তেমনই মাটির উপর কোনওরকম নির্মাণ কাজ করতে পারবে না মেট্রো। ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করা যাবে না। মেট্রোর সিঁড়ি সরাসরি হাওড়া দুই স্টেশনের মাঝে মাটির উপর আনা হবে না।” ডিআরএম সাহা একেবারে সরাসরি জানিয়েছেন, মেট্রো চল্লিশ হাজার যাত্রী হাওড়ায় এনে ছেড়ে দিল, তা চলবে না। যাত্রীরা বেরিয়ে যেখান দিয়ে খুশি বেরোবে তা চলবে না। মাটির উপরে সিঁড়ি আসবে না, মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে ওল্ড ও নিউ কমপ্লেক্সের যাতায়াতের সাবওয়ে থাকবে। যার ভিতর দিয়ে মেট্রোর যাত্রীরা সরাসরি এই দুই স্টেশনে যেতে পারবেন। বাইরে ভিড় হবে না। এই প্রসঙ্গে হাওড়া প্ল্যাটফর্মের সাবওয়ে উল্লেখ করেন তিনি। এটি নির্মাণের পর যাত্রী ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রচুর সুবিধা হয়ে গিয়েছে। লোকজন।পাশাপাশি ১৫ ও ১৬ নম্বর প্লাটফর্মে মেট্রোর কাজে ব্যবহার হচ্ছিল তা মেরামতব করে দেওয়ার কথা। মেরামত করে দিতে বলা হয়েছে। কারণ, ওই স্টেশনে ট্রেন চলবে।
হাওড়া স্টেশন নিয়ে যখন চিন্তা বাড়ছে যখন বোলপুর স্টেশনকে সাজাতে বিশ্বভারতীর দ্বারস্থ হল রেল। কলা ভবনের প্রিন্সিপ্যাল পঙ্কজ পানোয়ারের সঙ্গে দু’দিন আগে বৈঠক করেন হাওড়ার ডিআরএম। স্টেশনের সৌন্দর্যায়নে বিশ্বভারতী তাদের চারুকলাকে কাজে লাগাতে পারে। কবির ছবি, গান, কবিতার মাধুর্য স্টেশনে ফুটিয়ে তুলতে পারে বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ। ডিআরএম বলেন কলা ভবনের প্রিন্সিপ্যাল প্রস্তাবে সন্তুষ্ট। স্টেশন সাজিয়ে তোলার জন্য তারা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ করতে প্রস্তুত বলে রেল সূত্রে খবর।