গতকাল সপ্তদশ লোকসভার প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হয়েছে। দেশের ৯১ টি আসনে কাল প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে, তবে নির্বিঘ্নে না! গতকাল রাজ্যের দুটি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ওই দুটি আসন হল আইপুর দুয়ার এবং কোচবিহার। সকালে ভোট শুরু হতেই শুরু হয়ে যায় তৃণমূল বাহিনীর তাণ্ডব।
কোথাও সেনার পোশাক গায়ে দিয়ে রাজ্য পুলিশ ঘুরে বেড়াচ্ছে, তো কোথাও তৃণমূলের দাদারা বুথে ঢুকে ভোটারদের ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করে নিচ্ছে। এমনকি অনেক যায়গা তে তো বিরোধী দলের এজেন্টদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।
সমস্ত অভিযোগ নিয়ে রাজ্য পুলিশ আর জেলা শাসককে জানালেও কোন কাজ হয়নি। বরঞ্চ তাঁরা সবকিছু দেখেও বলেছে ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে। আর তারই মধ্যে কোচবিহারের শিতলকুচি থেকে আসে আরও বড় খবর। সেখানে তৃণমূলের গুণ্ডারা একদিকে বিরোধী দলের এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেয়। আরেকদিকে মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করে।
এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি প্রকাশ সিনহা সেখানে ক্যামেরা নিয়ে যেতেই দৌড়ে পালায় তৃণমূলের উন্নয়ন বাহিনী। রাজ্য পুলিশকে সবকিছু জানাতেও কোন সাহাজ্য পাওয়া যায়নি। অবশেষে ভোট সম্পন্ন হলে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার ডিএম অফিসে ধর্নায় বসেন। কমিশন ওনার দাবি বিবেচনার করার আশ্বাস দিলে নিশীথ প্রামাণিক তুলে নেয় ধরনা।
তারপর আজ সকালে কলকাতায় কমিশন দফতরে পুননির্বাচনের দাবিতে অবস্থানে বসেন মুকুল রায় সহ রাজ্য বিজেপির নেতারা। অবশেষে সবদিক বিবেচনা করে সন্ধ্যে বেলায় কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় যে, শিতলকুচির ১৮১ নম্বর বুথে হবে পুননির্বাচন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পর ফের জয় হল মানুষের।