করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, প্রত্যেক দিন ৩ লক্ষের ও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাতে তার মধ্যে দেশ জুড়ে করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেনের অভাব আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এর পাশাপাশি চলছে টিকাকরণের
কাজও। এই পরিস্থিতিতে সরকার ১৮ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কো -উইন পোর্টালে রেজিষ্টার করে নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে টিকাকরন কেন্দ্রে যেতে হবে।
ইতিমধ্যেই ৪৫ বছর বয়স ঊর্ধদের টিকাকরণের কাজ চলছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা যাচ্ছে যে ভাবে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তার ফলে ১ মে থেকে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৮-৪৪ বছর বয়সী যাঁরা টিকা নেবেন সেক্ষেত্রে তাদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ বা কো- উইন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে নাম নথিভুক্তির প্রক্রিয়া। ১ মে থেকে নিয়মের কিছু পরিবর্তন আসছে।
বর্তমানে যে সব বেসরকারি কেন্দ্রে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তার সরাসরি সরকারের থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে প্রত্যেক ডোজ ২৫০ টাকায় দিচ্ছেন। কিন্তু ১ মে থেকে তারা সরাসরি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে ভ্যাকসিন কিনে গ্রাহকদের দেবেন। সেক্ষেত্রে বাড়তে পারে টাকার পরিমাণ।
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে যে সরকারি টিকাকরন কেন্দ্রে এখন কার মতোই করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্য কর্মী ও ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের এখনকার মতোই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশ খোলা বাজারে ১ মে এর আগে থেকেই রাজ্য সরকারের জন্য পাওয়া যাবে এবং তার দাম ও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এবং উৎপাদনের বাকি ৫০ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর জন্য।
স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, “খোলা বাজারে পাওয়া যাওয়ার অর্থ এই নয় যে ওষুধের দোকান গুলোতেও করোনা ভ্যাকসিন মিলবে।”